অস্থিরতা বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার দুপুর ২টো থেকে সকল বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বিমান উড়ান বা অবতরণে বাধার কারণে নেপালে শত শত বিদেশি যাত্রী আটকে পড়েছেন। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হংসরাজ পান্ডে বলেছেন, বুধবার দুপুরের পরে পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘নেপালি সেনাবাহিনী বিমানবন্দরের ভিতরে এবং বাইরে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং আমরা সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত।” একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমরা বিমান এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারি না৷’’
advertisement
বিমানবন্দর কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে আস্থা অর্জন করা কঠিন ছিল। এদিকে, বুদ্ধ এয়ার জানিয়েছে যে বুধবার তাদের ফ্লাইটগুলি প্রভাবিত হবে এবং যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। ‘‘আমরা ফ্লাইটের সময়সূচি এবং সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেব,” বিমান সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতির বাড়ি তছনছ, সর্বদল বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী, নেপাল জুড়ে তাণ্ডব Gen Z-র
সম্প্রতি সমাজমাধ্যম ব্য়বহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নেপাল সরকার। তা ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় ওলির ওই সিদ্ধান্ত। প্রতিবাদে পথে নামে দেশের ছাত্র-যুবরা। তাদের বিক্ষোভে সোমবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল রাজধানী কাঠমান্ডু। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর। এর পর বিক্ষোভের ঝাঁঝ আরও বেড়ে গিয়েছে। চাপে পড়ে রাতেই নেপাল সরকার সমাজমাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বিবৃতি জারি করেছিল। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওলির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। চাপে পড়ে ওলি পদত্য়াগ করেন।