মোদি বুধবার বোচাসনওয়াসি শ্রীঅক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থার তৈরি মন্দিরের উদ্বোধন করেন। এই মন্দিরকে মানব ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবু ধাবির মন্দির বাস্তবায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতি শেখ মহম্মদ জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংবাদমাধ্যমগুলিতে। ‘দ্য ন্যাশনাল’ লিখেছে, ‘আমিরশাহির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যুগান্তকারী মুহূর্ত’। প্রতিবেদনের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছেন শুধুই মোদি। লেখা হয়েছে, ‘ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি’। ‘গালফ নিউজ’ আবার ‘এহলান মোদি’ ইভেন্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, ২০১৫ সালে দুবাইতে মোদির প্রথম ভাষণের পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে এটাই সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান।
advertisement
আরও পড়ুন: মৃত্যুর অভিনয় করে বড় বিপাকে অ্যাডাল্ট তারকা! পুনম ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মামলা
প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘আবু ধাবির জায়েদ স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ‘এহলান মোদি’ ইভেন্টে সব বয়সের হাজার হাজার প্রবাসী ভারতীয়রা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টায় ‘মোদি মোদি’ স্লোগানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তারপর অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। ২০১৫ সালে দুবাইতে মোদির প্রথম ভাষণের পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে এটাই সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান’।
‘এমিরেটস নিউজ এজেন্সি’ ভারত মার্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি কভার করেছে। ভারত মার্ট হল দুবাইয়ের মাটিতে ভারতীয় ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম। ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট থেকেই এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘খালিজ টাইমস’ আবার প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, ‘মোদি দুদিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে বারবার রাষ্ট্রপতি শেখ মহম্মদকে ‘ভাই’ বলে ডেকেছেন। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি-সহ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে’।
দুবাই-আবু ধাবি শেখ জায়েদ হাইওয়ের আল রাহবার কাছে আবু মরেখাহতে ২৭ একর জমির উপর ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে BAPS মন্দির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু ভারতের ‘অমৃতকাল’ নয়, এটা আমাদের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিরও ‘অমৃতকাল’। তাঁর কথায়, ‘আমরা বৈচিত্রের মধ্যে ঘৃণা দেখি না, বৈচিত্র্যকেই নিজেদের বিশেষত্ব মনে করি। এই মন্দিরের প্রতিটি কোণে আমরা বিভিন্ন বিশ্বাসের প্রতিফলন দেখতে পাব’।
মোদী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এতদিন বুর্জ খলিফা, ফিউচার মিউজিয়াম, শেখ জায়েদ মসজিদ এবং অন্যান্য হাই-টেক ভবনের জন্য পরিচিত ছিল, এখন তার পরিচয়ে আরেকটি সাংস্কৃতিক অধ্যায় যুক্ত হল। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে ভবিষ্যতে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত এখানে আসবেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে’।
সুবিশাল মন্দিরের বাস্তব রূপদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতির অবদানের উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘এই বিশাল মন্দিরকে বাস্তবে পরিণত করার পিছনে যে ব্যক্তির সবচেয়ে বড় এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে তিনি আমার ভাই রাষ্ট্রপতি শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ’।