অকালিদলের বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসার কথায়, 'নানকানা সাহিবে হামলার পরে খোলাখুলি ঘোষণা করা হয়েছে, পাকিস্তানের সব গুরুদ্বার মসজিদে পরিণত করা হবে৷ ইমরান খান চুপ৷ শিখ এই ধরনের ঘটনা মেনে নেবে না৷ এই ঘটনাই প্রমাণ করছে, পাকিস্তান একটি মুসলিম দেশ এবং তাদের কাছে সংখ্যালঘুদের কোনও মূল্য নেই৷ আমরা এর বদলা নেব৷ পাকিস্তান অবিলম্বে এই সব বন্ধ করুক৷'
advertisement
নানকানা সাহিব গুরদ্বারে হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও৷ সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, শুক্রবার পাকিস্তানে কয়েকশো মানুষ নানকানা সাহিবে পাথর ছুড়তে থাকে৷ সেখানেই ঘোষণা করা হয়, পাকিস্তানের সব গুরুদ্বারকে মসজিদে পরিণত করা হবে৷ ঘটনায় শিরোমণি অকালিদল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের কাছে পদক্ষেপের আবেদন করেছে৷
মনজিন্দর সিং সিরসা একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন৷ প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে, তখনই নানকানা সাহিবের ঘটনায় উত্তাল দেশ৷ ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পাকিস্তানের সংসদে রেজোলিউশন প্রস্তাব আনা হয়েছে৷
নানকানা সাহেবের গুরুদ্বারে হামলা চলল পাকিস্তানে। শতাধিক বিক্ষুব্ধ মুসলিম বাসিন্দারা গুরুদ্বারে পাথর ছোড়েন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, জনতার নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ হাসানের পরিবার। শুক্রবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ মুসলমানরা পবিত্র গুরুদ্বার ঘেরাও করে বহু ভক্তকে ভিতরে আটকে রেখে। আন্দোলনকারীরা গুরুদ্বারটি ধ্বংস করে সেই জায়গায় মসজিদ তৈরির হুমকিও দেয়।
নানকানা সাহিবে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি৷ রাহুল ট্যুইটারে লিখেছেন, 'নানকানা সাহিবে হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ ধর্মান্ধতা বিপজ্জনক৷ ধর্মান্ধতা প্রাচীন বিষ, যার কনও সীমান্ত নেই৷'