আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বোমা বানাতে হাত লাগিয়েছেন গৃহিণী থেকে শুরু করে শিক্ষিকা এমনকী আইনজীবীরাও। তাঁরা জানান, নিজেদের ঘর বাঁচাতে যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা। যদিও দনিপ্রো শহরটি এখনও রুশ সেনার হামলার মুখে পড়েনি। তবে এই শহরের সেনা হাসপাতালের ৪০০ শয্যা এখন ভর্তি। পূর্ব ইউক্রেনের নানা অঞ্চল থেকে যুদ্ধে আহত সেনাদের আনা হচ্ছে এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফেলা হবে স্পেস স্টেশন, এবার ভারতকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার! ট্যুইট ঘিরে তুমুল আলোড়ন
দনিপ্রো শহরের কেউ কেউ আবার বলেন, শহর ছেড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অবশ্য নিজেদের ইচ্ছাতে তাঁরা শহর ছেড়ে যাচ্ছেন না। তাঁদের সামনে আসলে আর কোন পথ খোলা নেই। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে আবার দাবি করে বলেছে, তারা ৩৫০০ রুশ সেনাকে হত্যা করেছে। প্রায় ২০০ জন রুশ সেনাকে বন্দি করা হয়েছে। ইউক্রেনের সেনার আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার ও ১০২টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে তাঁরা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সব রাস্তায় মুছে ফেলা হচ্ছে চিহ্ন, সাইনবোর্ড! কারণ জানলে চমকে উঠবেন
এত কিছুর পরেও অবশ্য কিভ দখলের পথেই রয়েছে রুশ সেনা। এই পরিস্থিতিতে কিয়েভের রাজধানীতে ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাবাহিনীর দাপাদাপি বন্ধ করতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করা হয়েছে, নাগরিকরা যেন ঘরেই পেট্রোল বোমা তৈরি করেন। এমনকী, রাজধানী কিভের উত্তরের জেলা ওবোলোনের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, রাশিয়ান যানবাহন এবং সৈন্যদের গতিবিধি সম্পর্কে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যেন তথ্য ভাগ করা হয়।