আসলে সেনসাস ব্যুরো ডেটা বলছে যে, মিশিগানের ওয়েন কাউন্টিতে একটি গড়পরতা পরিবারের আয় বছরে ৬০ হাজার ডলার। আবার RedFin-এর তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, সেখানে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের হিসেবে বাড়ির গড় দাম ১ লক্ষ ডলার।
আরও পড়ুনঃ মাত্র দেড় ঘণ্টার দূরত্ব, খুবই স্বল্প খরচ! গরমে কলকাতার কাছেই এই উইকেন্ডে স্পটে না গেলে বড় মিস
advertisement
কিন্তু ফেয়ার্স কেসেহবাতি সম্প্রতি দুবাইয়ে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনে ফেলেছেন। আর গত বছর থেকে বছরের ৬টা মাস সেখানেই কাটিয়ে দেন তিনি। CNBC Make It-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় ওই যুবক বলেন যে, ২০২১ সালে আমি প্রথম দুবাইয়ে আসি। আর বিগত চার বছর ধরে আমি এখানে আরও বেশি বেশি সময় কাটিয়েছি। প্রত্যেক বছর যেন আরও বেশি বেশি করে এখানকার এনার্জির প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।
আসলে ফেয়ার্স কেসেহবাতি একাই নন, বহু মানুষ দুবাইয়ের প্রেমে পড়েছেন। কারণ সাম্প্রতিক কিছু বছরে দেখা গিয়েছে যে, দুবাইয়ের জনসংখ্যা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যেই এখানে প্রায় ৩ লক্ষ বাসিন্দা বেড়েছে। Remitly দ্বারা করা ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, সকলের কাছে সবথেকে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। কারণ যাঁরা নতুন দেশে আশ্রয় নিতে চাইছেন, তাঁদের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে দুবাই। ২০২৫ সালে TripAdvisor-এর সেরা গ্লোবাল ডেস্টিনেশন হিসেবে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এমিরেট। যদিও আগে ২০২২ সাল থেকে তা এই তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল।
কেসেহবাতির দুবাইয়ের অ্যাপার্টমেন্টটির দাম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার। এখানে তাঁর মাসিক মর্টগেজ এবং ইউটিলিটির খরচ প্রায় এক মাসে ১৭৫০ ডলার। যদিও এই খরচের কিছু অংশ দিয়ে ডেট্রয়েটে একটি গোটা বাড়ি কিনে ফেলতে পারতেন ওই যুবক। কিন্তু দুবাইয়ের কিছু সুযোগ-সুবিধা যেন তাঁকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু কেন দুবাইকে ভালবেসে ফেললেন তিনি?
একজন উদ্যোগপতি হিসেবে দুবাইয়ের আকর্ষণীয় এনার্জি দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলেন কেসেহবাতি। তাঁর কথায়, “এটা হল উদ্ভাবনের শহর। এখানে আসা মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি উদ্যোগ, সকলেই কেবল নিজেদের উন্নতির দিকেই বেশি মনোযোগ দেন। আর এমন জায়গায় এলে নিজের মধ্যেও অনুপ্রেরণা জাগে।”
শুধু তা-ই নয়, এখানকার খাবারদাবারও বেজায় পছন্দ হয়েছে ওই উদ্যোগপতির। তিনি বলেন যে, “সারা বিশ্বের সমস্ত ভাল খাবারদাবার পাওয়া যায় এখানে। আর আমার মতো যাঁরা কখনও-সখনও রান্না করেন, অথবা নিত্য দিন রান্নাবান্না করতে চান না, তাঁরা প্রচুর খাবার অর্ডার করে নিতে পারেন। এমনকী এখানে খাবারের দাম অনেকটাই সাশ্রয়ী।”