এই ভোটের দিকে কড়া নজর রয়েছে চিনেরও। নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে মূলত দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)-এর সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল এমডিপি-র। মলদ্বীপের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তার জন্য ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণের জন্য এই নির্বাচনের ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত ও চিন।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় ভয়ঙ্কর দৃশ্য! বহুতলের ১৪ তলা থেকে কী পড়ল ওটা! কাছে যেতেই দেখা গেল, রক্তে মাখা যুবতী!
গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে চিনপন্থী মুইজ্জু। এবারের নির্বাচনের প্রচারজুড়ে ভারত বিরোধিতার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ভারতীয় সেনাকে ‘বিতাড়ন’ করার সিদ্ধান্ত নেন এই নেতা। মলদ্বীপে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো গড়তে বরাত দেন চিনা সংস্থাগুলোকেও। মুইজ্জুকে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে বেজিং, একথা কার্যত দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। তাই ভারত ও চিন উভয়েই মলদ্বীপ নির্বাচনের দিকেও নজর রাখছে কারণ উভয় দেশই দ্বীপপুঞ্জে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। যার কারণে ভারত ও চিন উভয়েই মলদ্বীপের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। গত বছর, রাষ্ট্রপতি হিসাবে, মুইজ্জু চীনপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন এবং দেশের একটি দ্বীপে অবস্থানরত ভারতীয় সৈন্যদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে নির্দিষ্ট ডেডলাইনও দিয়েছিলেন। তবে, মুইজ্জুর পক্ষে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা কঠিন হবে। কারণ তার কিছু মিত্র দলত্যাগ করেছে এবং আরও দল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। ছয়টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র দল সংসদের ৯৩টি আসনে ৩৬৮ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নিয়েছে।