অসাধারণ সমুদ্র সৈকত এবং প্রবাল প্রাচীর মলদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। তবে এই সুন্দর দ্বীপপুঞ্জই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সম্মুখীন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ আগেই সাবধান করেছিলেন। আর জানিয়েছিলেন যে, এখানকার নাগরিকদেরই বিশ্বে প্রথম বারের জন্য পরিবেশগত শরণার্থী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তিনি রিলোকেশন পরিকল্পনাটিও শেয়ার করেছিলেন। যদিও বর্তমান প্রেসিডেন্ট উপকূল সুরক্ষার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক তহবিল চাইছেন। আর তাঁর বিশ্বাস, এই সিদ্ধান্তের জেরে নাগরিকদের আর ঘরছাড়া হতে হবে না।
advertisement
চলমান জল সঙ্কট এবং বন্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সমুদ্রপ্রাচীরের মাধ্যমে দেশের উপকূলকে শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে নিরাপদ দ্বীপ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে মহম্মদ মুইৎজু বেশ আশাবাদী। যদিও এটি লক্ষ্যণীয় যে, মলদ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক মিটারেরও কম উচ্চতায় অবস্থিত। যা এই ব্যবস্থাগুলির দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও উদ্বেগ বাড়ায়।
আরও পড়ুন: দিঘার আবহাওয়ায় বড় বদল! সাগর সফরের আগে জেনে নিন, চলতি মাসের শেষেই পাল্টাবে সব!
মলদ্বীপের অর্থনীতির জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল পর্যটন। এখানকার অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ আসে পর্যটন থেকে। তবে এই সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ যা এতদিন পর্যটকদের জনপ্রিয়তার কেন্দ্রে ছিল, সেটার ভাগ্য অনিশ্চয়তার মুখে। কারণ দুর্গের মতো প্রাচীরগুলি ঘনবসতিপূর্ণ বসতিগুলিকে রক্ষা করে ঠিকই, কিন্তু দ্বীপগুলিকে দুর্বল করে তোলে।
পরিবেশগত এই উদ্বেগের মধ্যেই রিক্ল্যামেশন প্রজেক্টগুলি গত চার দশকে প্রায় ১০ শতাংশ দ্বারা দেশের ভূমির পরিধি প্রসারিত করেছে। প্রেসিডেন্ট মুইৎজু একজন ব্রিটিশ-শিক্ষিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, হুলহিউমেল কৃত্রিম দ্বীপের সম্প্রসারণ তদারকিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরিবেশগত এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলি যত্ন সহকারে রিক্ল্যামেশন প্রজেক্টগুলির বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
মলদ্বীপ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনের জরুরি প্রয়োজনের সঙ্গে লড়াই করছে, তাই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।