তথ্য বলছে সে দেশে মোট ৮৮ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন। মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির তরফে পাবলিক পলিসি সেক্রেটারি, আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম সংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় সামরিক কর্মীরা মলদ্বীপে থাকতে পারবে না। এটি রাষ্ট্রপতি ড. মহম্মদ মুইজ্জুর এবং এই প্রশাসনের নীতি।’
advertisement
এরপরেই আলোচনার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের দল গত রবিবার সকালে মালে-তে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সদর দফতরে প্রথম বৈঠক করে। বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ারও উপস্থিত ছিলেন। নাজিম ইব্রাহিনম জানিয়েছেন, সেখানেই ১৫ মার্চ দিনটি স্থির হয়েছে।
এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, উভয় পক্ষই চলমান উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা এবং অংশীদারিত্ব বাড়ানোর পদক্ষেপগুলি চিহ্নিত করে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।
জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই পথ খুঁজছে যাতে মলদ্বীপের জনগণকে মানবিক নানা পরিষেবা এবং ‘মেডভ্যাক’ পরিষেবা প্রদানকারী ভারতীয় বিমান চলাচল অব্যাহত রাখা যায়। এজন্য ভারতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করার চেষ্টাও চলছে।
মুইজ্জু প্রথম থেকেই চিনপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, মলদ্বীপের জনগণই তাঁকে এই ‘কড়া আদেশ’ দিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুইজ্জু সরকারের তিন প্রতিমন্ত্রীর পোস্ট করা অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দু’দেশের দ্বন্দ্ব উসকেছে। তারপরই ভারতীয় সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের কথা আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। যদিও প্রাথমিক ভাবে মুইজ্জু সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্টের জন্য তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে। তারপর ভারতে শুরু হয় মলদ্বীপ বয়কটের আহ্বান।
আরও পড়ুন, অনুপম হাজরা রাজনীতি ছাড়ছেন…? ২২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের লাইভে ‘বিস্ফোরক’ বিজেপি নেতা
আরও পড়ুন, শ্রীনিধিকে ২-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বিতেই ফয়সালা হবে সুপার কাপের সেমিতে কোন দল
মলদ্বীপে পর্যটক হিসেবে সব থেকে বেশি যান ভারতীয়রা। তারপর রাশিয়ান, তৃতীয় স্থানে চিনারা। সম্প্রতি চিন সফর সেরে দেশে ফিরে শনিবারই মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘আমরা ছোট হতে পারি, কিন্তু আমাদের ধমক দেওয়ার অনুমতি নেই কারও।’ খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ, ভোগ্যপণ্য, নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত-নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনাও করছেন মুইজ্জু।
মুইজ্জুর দাবি, তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন, মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও বাহ্যিক প্রভাব পড়তে দেবেন না। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের স্বাক্ষরিত ১০০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করে দেখছে মালে।