আইনের বিরোধিতায় দীর্ঘ ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ও কৃষকদের পাঁচটি বৈঠক হলেও সবই নিস্ফলা হয়েছে। কৃষকর তিনটি আইন প্রত্যাহার ব্যতীত অন্য কোনও কথাই শুনতে চান না তাঁরা। কৃষকদের এই প্রতিবাদকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এবং বহু রাজনৈতিক দল। বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের আঁচ। আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন প্রবাসীরা। তবে প্রতিবাদের নামে ওয়াশিংটন ডিসি-তে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
advertisement
১২ ডিসেম্বর কৃষি আইনের প্রতিবাদে শামিল হন বিক্ষোভকারীরা। খালিস্থানি পতাকা নিয়ে চলছিল স্লোগান দেওয়া। তারই মধ্যে কয়েকজন ওয়াশিংটন ডিসি-র ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে অর্থাৎ গান্ধি মেমোরিয়াল প্লাজার ঠিক বাইরে মহাত্মা গান্ধির মূর্তির মুখ ঢেকে দেয় খালিস্থানি পতাকায়। এ ঘটনায় শোনবার বিকেলে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ এবং সিক্রেট সার্ভিসের আধিকারিকরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন সন্তর্পণে। পুলিশ জানিয়েছে, শিখ-আমেরিকান বিক্ষোভকারীরা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কৃষি আইনের প্রতিবাদে। তাদের হাতে খালিস্থানি পতাকা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই প্রতিবাদ অন্য মাত্রা পায়। বিক্ষোভকারীরা মহাত্মা গান্ধির কপালে কালি লাগিয়ে দেয়। এরপর মুখ ঢেকে দেওয়া হয় খালিস্থানি পতাকায়।
ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দূতাবাসের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, "ভারতীয় দূতাবাস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। যাঁরা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এ দিকে, যখন এই ঘটনা ঘটেছে, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় আরও কিছু বিক্ষোভকারী উপস্থিত হন। তারা নরেন্দ্র মোদির কাটআউট গান্ধি মূর্তির গলায় ঝুলিয়ে দেয় দড়ি দিয়ে। এই ঘটনার মধ্যেই সিক্রেট সার্ভিসের এই আধিকারিক গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এরপর ধীরে ধীরে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। ওয়াশিংটন পুলিশ জানিয়েছে, মূলত গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, পেনসিলভেনিয়া, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ইন্ডিয়ানা, ওহিও, ক্যারোলিনা থেকে শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত পুরুষ এবং মহিলারা এ দিনের এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।