বরিস জনসন পদত্যাগ ঘোষণা করার পর জুলাই মাস থেকে লড়াইের শুরু হয়। লড়াইের প্রধান দুই প্রতিযোগী ব্রিটেনের প্রাক্তন চ্যান্সেলর এবং কোষাগারের প্রধান সচিব ঋষি সুনক এবং ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস।গত শুক্রবারই ডাক ও অনলাইন দুই পদ্ধতিতে শেষ হয়েছে ভোটাভুটি।
আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, নাম জানা যাবে কার দখলে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট
advertisement
জনসন পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে দলের অন্দরেই নতুন প্রধানমন্ত্রী খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় কনজারভেটিভ পার্টি। রাজনৈতিক মহলের কথায়, প্রথম থেকেই অনেকটা এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পছন্দের প্রার্থী লিজ ট্রাস। শেষ বেশ কিছু মাস ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে দুই পদপ্রার্থীই লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে।ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সংকটের মধ্যে রয়েছেন, যা এই ভোটে বড় ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনী প্রচারে লিজ ট্রাস বলেছিলেন, জিতলে তিনি অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন।
মঙ্গলবার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর ডাউনিং স্ট্রিট অফিসের বিদায়ী বক্তৃতা দিয়ে স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনশায়ারে রানীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। নিয়মনুসারে, তাঁর উত্তরাধিকারী লিজ ট্রাস স্কটল্যান্ডে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বলমোরাল ক্যাসেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হচ্ছে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বার্ধক্যজনিত সমস্যার জন্য। মঙ্গলবার বিকেলে, নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদ ঘোষণার কাজ শুরু করার আগে তাঁর উদ্বোধনী ভাষণ দিতে ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসবেন।