শেষ চার ম্যাচে দুটো ড্র, দুটো হার। ২০০৭-র পর বিশ্ব কাপ কোয়ালিফায়ারে কখনও এমন পরিস্থিতি আসেনি আলবিসেলেস্তেদের। ব্রাজিল ম্যাচে হারটা কাঁটা হয়ে বিধেঁছিল নীল-সাদায়। সান খুয়ানে সমর্থক ভরা গ্যালারির সামনে এলএম টেনকে সামনে রেখে আজ ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ ছিল দি মারিয়া, মাসচেরানোদের।
কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্টে বিশ্বকাপের মূলপর্বের দৌড়ে ভেসে রইল আর্জেন্টিনা। সেটপিস থেকে দুরন্ত গোল করে, লুকাসকে কম্পাস মাপা সেন্টারে গোল করিয়ে সান খুয়ানের নায়ক সেই মেসি।
advertisement
পাঁচ বারের ব্যলন ডি অঁরকে থামাতে তিতের টোটকা নিয়ে ছিলেন হোসে পেকেরম্যান। কলম্বিয়ান কোচের মাস্টার স্ট্রোক কাজে আসেনি। প্রথম টাচেই উইলমার ব্যারিয়সের রাফ ট্যাকল। থমকে যাননি মেসি। দশ মিনিটের মাথায় ২৫ গজ দূর থেকে সেটপিসে চোখ ধাঁধানো গোল এলএম টেনের।
২৩ মিনিটে লুকাস প্র্যাতোর গোলের পিছনেও সেই মেসি। বার্সা তারকার কম্পাস মাপা সেন্টার গোলে না পাঠিয়ে উপায় ছিল না হিগুয়েনের বদলি অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর ২৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের।
গোল করলেন, করালেন। গোলের সম্ভাবনা তৈরি করলেন আরও বেশ কয়েকবার। নিজের পরিচিত জোন ছেড়ে মেসি নেমে এলেন নিজেদের বক্সের মাথায়। খেলা তৈরি করলেন নিজেদের হাফ থেকে। রোনাল্ডো ছিলেন না। কিন্তু রিয়ালে রো-র সতীর্থ হামেস তো ছিলেন প্রতিপক্ষে। কিন্তু কোথায় কি। সান খুয়ান জুড়ে শুধুই উজ্জ্বল সেই এলএম টেন।
১২ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট। রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সান খুয়ানে মেসির ফর্মটাই বড় পাওনা কোচ বাউজারের। নীল-সাদা সমর্থকদের জন্যও স্বস্তি সেটাই।