এই দুঃসময়েও সদর্থক বার্তা দিয়েছেন কেট৷ বলেছেন তিনি সুস্থ হচ্ছেন এবং প্রতিদিন মানসিকভাবে শক্ত হচ্ছেন৷ তাঁর ক্যানসার চিকিৎসার বিশদ বিবরণ এখনও প্রকাশিত হয়নি৷ তবে তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠবেন সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কেনসিংটন প্যালেস৷
কেট জানান জানুয়ারিতে তাঁর পেটে অস্ত্রোপচার হয়৷ তখনও তাঁরা ক্যানসার নিয়ে জানতেন না৷ একাধিক পরীক্ষার পর তাঁর দেহে কর্কট রোগের অস্তিত্ব ধরা পড়ে৷ মেডিক্যাল টিমের পরামর্শে কেমোথেরাপি শুরু হয় কেটের৷ অন্যান্য ক্যানসার রোগীদের প্রতি কেটের বার্তা, ‘হাল ছেড়ো না৷ তোমরা একা নও৷’
advertisement
কেট তথা ক্যাথরিনের আরোগ্য কামনা করে বার্তা দেওয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে৷ প্রেস সচিব ক্যারেইন জন পিয়ের শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা সকলে এই ভয়ঙ্কর খবরটা শুনেছি৷ ডাচেজ অব কেম্ব্রিজ এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমাদের শুভকামনা রয়েছে৷’’
আরও পড়ুন : বাবার অকালমৃত্যুতে পড়াশোনায় ছেদ, সাইকেল সারাইয়ের মেকানিক আজ সফল আইএএস অফিসার
পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক জানিয়েছেন ব্রিটেনবাসীর ভালবাসা আছে প্রিন্সেসের পাশে৷ তাঁর বার্তায় সুনক বলেছেন, ‘‘সারা দেশের হয়ে আমি তাঁর সম্পূর্ণ এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি৷ তাঁকে আবার সুস্থ ও সক্রিয় অবস্থায় দেখার অপেক্ষায় আছি৷’’
এর আগেই এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল কেট তাঁর অফিশিয়াল ডিউটিতে ইস্টারের আগে ফিরছেন না৷ প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট এবং প্রিন্স লুইসের মা ৪২ বছর বয়সি কেটের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা চলছিল৷ উঠে আসে কেটের স্বামী প্রিন্স উইলিয়ামের নতুন প্রেমের সম্ভাবনাও৷ এ বার তাঁর প্রকাশ্য অনুপস্থিতি ঘিরে নীরবতা ভাঙলেন কেট নিজেই৷