আরও পড়ুন: কোটিপতিদের বাড়িও পুড়ে ছাই, কিছুতেই নিভছে না আগুন, লস অ্যাঞ্জেলেস যেন লস্ট সিটি
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নিজের দলের প্রধান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। জানিয়ে দিয়েছেন, দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর উত্তরসূরী নির্বাচিত হলেই তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কানাডাকে আমেরিকার ৫১ তম রাজ্য হিসেবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান ট্রাম্প। দাবি করেন, অধিকাংশ কানাডাবাসীও এমনটাই চায়।
advertisement
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, “কখনওই নয়। ট্রাম্প দক্ষ আলোচক। তিনি আসলে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন। যেন ২৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে কেউ কথা না বলে। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, কাঠ এবং কংক্রিটের উপর এই শুল্ক লাগু হতে পারে।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ কি এবার খেতেও পাবে না? ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্তে তুমুল ক্ষোভ!
গত বছরের নভেম্বরে মেক্সিকো, কানাডা এবং চিন থেকে আসা সমস্ত পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এটাই হবে তাঁর প্রথম কাজ। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “২০ জানুয়ারি, প্রথম একজিকিউটিভ অর্ডারের একটা হিসেবে, আমি মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সমস্ত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নথিতে সই করব। হাস্যকর খোলা সীমান্ত বন্ধ করব।” ট্রাম্প স্পষ্ট করে করে দেন, “যতদিন না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলের মতো মাদকদ্রব্য এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছে, ততদিন এই শুল্ক জারি থাকবে।”
শুল্ক আরোপ হলে আমেরিকার বাজারে মেক্সিকো, চিন এবং কানাডার পণ্যের দাম বাড়বে। ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরা সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের বাড়তি দাম দিয়ে জিনিসপত্র কিনতে হবে। কারণ কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। এমনটাই দাবি করেছেন ট্রুডো।
ট্রুডো সিএনএন-কে বলেন, “আমেরিকান গ্রাহকরা কানাডা থেকে যা কিছু কেনেন, এই শুল্ক লাগু হলে হঠাত করেই সেই সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। এই বিষয়টা থেকেই নজর ঘোরাতে চান ট্রাম্প।” এরপর ট্রুডো বলে দেন, “কানাডিয়ানরা কানাডিয়ান হওয়ার জন্য গর্বিত।” তাঁর কথায়, “আমাদের একটা পরিচয় রয়েছে। আর সেটা হল আমরা আমেরিকান নই।”