৮২ বছর বয়সি ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি সে সময় হারিয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যদিও তার আগেই ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
advertisement
গোল, ছোট, নাকি টানা টানা? চোখ দেখেই বুঝবেন কে, কেমন মানুষ…! মিলিয়ে নিন বৈশিষ্ট্যগুলো
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্রাবজনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছিল বাইডেনের শরীরে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষানিরীক্ষার পর প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত করেন। বর্তমানে বাইডেনের পরিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে।
দফতরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রোগটি অত্যন্ত আক্রমণাত্মক প্রকৃতির হলেও এটি হরমোন-সংবেদনশীল। ফলে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত সপ্তাহে প্রস্রাবজনিত সমস্যা বাড়ার কারণে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে একটি নতুন সমস্যা পাওয়া যায়। শুক্রবার তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে, যার গ্লিসন স্কোর ৯ (গ্রেড গ্রুপ ৫)। ক্যানসারটি ইতিমধ্যেই অস্থিতে ছড়িয়ে পড়েছে।”
“যদিও এটি রোগটির একটি আগ্রাসী রূপ, তবে ক্যানসারটি হরমোন-সংবেদনশীল হওয়ায় কার্যকর চিকিৎসা সম্ভব,” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেনের দ্রুত এবং সফল আরোগ্য কামনা করেছেন।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লেখেন, “জো বাইডেনের এই চিকিৎসাগত খবরটি শুনে মেলানিয়া এবং আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা জিল এবং পুরো বাইডেন পরিবারকে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সমবেদনা জানাই। আমরা জো-র দ্রুত ও সফল আরোগ্য কামনা করছি।”
প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং তাঁর স্বামী ডগলাস এমহফও বাইডেনের সুস্থতা কামনা করেছেন। কমলা হ্যারিস বলেন, “ডগ এবং আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসারের খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা বাইডেন পরিবার ও ড. জিল বাইডেনের কথা ভেবে প্রার্থনা করছি।”
“জো একজন যোদ্ধা — আমি জানি, এই চ্যালেঞ্জও তিনি তাঁর জীবনের চিরকালীন সাহস, সংকল্প ও আশাবাদের সঙ্গেই মোকাবিলা করবেন। আমরা তাঁর সম্পূর্ণ ও দ্রুত আরোগ্যের ব্যাপারে আশাবাদী,” তিনি যোগ করেন।
বাইডেনের বয়স এবং স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বরাবরই ছিল, যা জুনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে তাঁর দুর্বল পারফরম্যান্সের পর আরও বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তাঁদের শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেনের ক্যানসারবিরোধী প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
বারাক ওবামা বলেন, “মিশেল এবং আমি বাইডেন পরিবারকে নিয়ে ভাবছি। ক্যানসার প্রতিরোধে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে জো-র চেয়ে বেশি কেউ কাজ করেননি। আমি নিশ্চিত, এই লড়াইটিও তিনি তাঁর নিজস্ব দৃঢ়তা ও সৌজন্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবেন। আমরা তাঁর দ্রুত এবং সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি।”
এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) হিলারি ক্লিন্টন লেখেন, “ক্যানসারের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে বাইডেন পরিবারকে মনে রাখছি — এমন একটি রোগ, যা থেকে অন্য পরিবারগুলিকে রক্ষা করতে তাঁরা অনেক কাজ করেছেন। আপনার দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।”