কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মজিদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বলেন—
“এই কাপুরুষোচিত ইজরায়েলি হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন। এটি কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।” কাতার জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই “অবিবেচক ইজরায়েলি আচরণ” মোটেও বরদাস্ত করবে না।
বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার! কোন মহিলারা পাবেন জানেন? আবেদনে দরকার শুধু এই নথি!
advertisement
যুদ্ধবিরতির মাঝেই আঘাত
হামলার সময় হামাস নেতারা নতুন মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নথি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে হামাস ওই নথিকে “অপমানজনক আত্মসমর্পণপত্র” বলে মন্তব্য করেছে। তারা জানিয়েছে, প্রস্তাবটি তারা খতিয়ে দেখে কয়েক দিনের মধ্যে জবাব দেবে।
ইজরায়েলের বক্তব্য
ইজরায়েলি সেনার দাবি, “হামাস নেতৃত্ব ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের মূল পরিকল্পনাকারী এবং এখনও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট বলেছেন, “এই হামলার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ইজরায়েলের।”
গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করার সময় কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে ইজরায়েল।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কড়া নিন্দা করে বলেন, “সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটতে হবে, ধ্বংস নয়।”
- সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশ মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ কাতারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন: “আমাদের প্রিয় কাতারের প্রতি পূর্ণ সংহতি।”
- মার্কিন দূতাবাস কাতারে আমেরিকান নাগরিকদের জন্য “shelter-in-place” নির্দেশ জারি করেছে।
কাতার দ্বিতীয়বার হামলার শিকার
প্রসঙ্গত, এর আগে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের সময় মার্কিন সেনা ঘাঁটি আল-উদেইদ এয়ারবেস-এ ইরানের হামলা নেমে এসেছিল। এবার সরাসরি দোহায় হামাসের রাজনৈতিক সদর দফতরই লক্ষ্যবস্তু হল।
এই হামলার ফলে প্রশ্ন উঠছে—আলোচনার টেবিলে বসে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো আদৌ সম্ভব হবে কি না।