TRENDING:

যৌনমিলনে আগ্রহ বাড়াতে প্রচার, সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কোপেনহাগেন: ‘‘আপনারা আরও যৌনতায় মেতে উঠুন ৷’’এমন কথা এ দেশে প্রকাশ্যে শুনতে পেলেই যেন মাথা কাটা যাওয়ার জো হয় ! লজ্জায় রাঙা হয়ে যায় মুখ ৷ যৌনতা নিয়ে এ দেশে কথা বলা তো দূরস্ত, ভাবটা এমন ভাবনাটাও যেন গর্হিত অপরাধ ৷ তবে এ সমস্ত ধ্যান ধারণা তো আর পশ্চিমী দেশগুলোতে নেই ৷ !‘যৌনমিলনে’অংশ নিতে মানুষজনকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য একেবারে রীতিমতো প্রচার চলছে ডেনমার্কে ৷
advertisement

এই প্রচারাভিযান শুরু হয়েছিল আজ থেকে চার বছর আগে ২০১৪ সালে ৷ 'ডু ইট ফর মম' নামে একটি প্রচারাভিযান শুরু হয় ৷ তার উদ্দেশ্য হল-দেশটির নাগরিকদের গ্রীষ্মকালে সমুদ্রতটে ছুটি কাটাতে পাঠানো। গবেষণায় উঠে এসেছে জলের ধারে গেলে মানুষের মনে যৌনাকাঙ্খা বাড়ে। আর সে কারণে আকাঙ্খা বাড়লে দেশটির বড় উপকার হয়।

advertisement

পরে 'ডু ইট ফর মম' প্রচারণার পরিধি বাড়িয়ে 'ডু ইট ফর ডেনমার্ক', এমনকি 'স্ক্রু ফর ডেনমার্ক' নামেও প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত দু'টি বিজ্ঞাপনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়, যেগুলোতে ডেনমার্কের জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং যৌনমিলনের নানা সুফল বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রচারাভিযানের উদ্দেশ্য ঠিক কী? ডেনমার্কে জনসংখ্যা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ৷ জনসংখ্যায় উৎসাহ বাড়াতেই এই প্রচার ৷ কয়েক বছর আগে দেশটিতে জন্মহার এতই কমে গিয়েছিল যে, বছরে তা ষাট হাজারেও পৌঁছচ্ছিল না ৷ অথচ ‘ডু ইট ফর মম' প্রচার শুরুর পর দেখা গেল আগের বছরের গ্রীষ্মের তুলনায় সন্তান জন্মের হার বেড়ে গেছে প্রায় ১৪ শতাংশ!

advertisement

এই প্রচার মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাশাপাশি তাদের দেখভালের জন্য দিদা-ঠাকুমারা কতটা মুখিয়ে আছেন, তা দেখানো হয়েছে ৷ এমনকী  তিন বছর পর্যন্ত শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান আর শিশুবান্ধব ছুটি কাটানোর অফারও দেওয়া হয়েছে সন্তান ধারণে সক্ষমদের সন্তান নিতে উৎসাহী করতে ৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

অন্যদিকে, জার্মান সরকারও গত কয়েক বছরে সন্তান জন্মদানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সন্তান জন্মের পর এক বছর পর্যন্ত মা কিংবা বাবাকে তাদের বেতনের দুই-তৃতীয়াংশ প্রদানসহ ছুটি প্রদানের নিয়ম করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্তান লালন-পালনে যাতে অভিভাবকের উপর বেশি চাপ না পড়ে সেজন্য জার্মানিতে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুর জন্য এক বছর বয়স থেকে কিন্ডারগার্টেনে একটি করে আসন নিশ্চিত করছে সরকার। যেসব সন্তানের বাবা-মা উভয়েই চাকুরিজীবী, তাদের জন্য এটা এক বড় সুবিধা। সন্তানের জন্য ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারিভাবে মাসিক ভাতাও প্রদান করা হয়। কারো যদি একাধিক সন্তান থাকে, যাদের কিন্ডারগার্টেনে যেতে হবে, সেক্ষেত্রে অনেক রাজ্যে দ্বিতীয় সন্তানের জন্য কিন্ডারগার্টেনে কোনো ফি নেওয়া হয় না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
যৌনমিলনে আগ্রহ বাড়াতে প্রচার, সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার