জেরুজালেমে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে। তবে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করতে প্রস্তুত ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও।
advertisement
হামলার কথা স্বীকার করেছে ইজরায়েলি সেনা। এদিন টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইজরায়েলি ফৌজের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি বলেন, “ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি।” এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি ড্রোন বা মিসাইল দেখলেই তা ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলোকে। জর্ডনের এয়ার ডিফেন্সকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে, যদি কোনও ইরানীয় বিমানকে তাদের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়তে দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যেন সেগুলি ধ্বংস করা হয় ৷
হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাতের মধ্যে প্রথম থেকেই জড়িয়ে পড়ে ইরান। ইজরায়েল এবং ইরান এতদিন পর্যন্ত সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও দু’দেশের মধ্যে চাপানউতর চলছিল কয়েক দিন ধরেই। আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েলের হামলা ৷ ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলও। এরপরই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালানো শুরু করল ইরান ৷ যদিও এই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের কোথায় আঘাত হেনেছে, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।