এরপর লোকটি চলে যাওয়ার আগে তাদের দুই মহিলার যোগাযোগের তথ্য দিয়ে দেয়। এর পর ষড়যন্ত্র করে ওই দুই পর্যটক৷ হোটেলের ঘরে যৌনকর্মীকে লুঠ করার পরিকল্পনা করে৷ সেদিন সন্ধ্যা ৬ নাগাদ হোটেলের ঘরে একজন যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দু’জনে। ঘরে ঢুকে তারা যৌনকর্মীকে হাত-পা কাপড় দিয়ে বেঁধে তাকে চড় মারে। তারা তার গয়না, নগদ ২০০০ সিঙ্গাপুর ডলার, পাসপোর্ট এবং ব্যাঙ্কের কার্ড লুঠ করে নেয়।
advertisement
পরে সেই রাতেই তারা অন্য একটি হোটেলে দ্বিতীয় মহিলাকে ডেকে পাঠায়। যখন সে পৌঁছয়, তখন তারা তাকে ডাকাতি করার জন্য তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় এবং যাতে চিৎকার করতে না পারে, তার জন্য ওই যৌনকর্মীর মুখ চেপে ধরে। তারা ওই মহিলার ৮০০ সিঙ্গাপুর ডলার, দুটি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট কেড়ে নেয়, এবং তাঁকে হুমকি দেয় যে তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন : মেঝেতে সন্তানের নিথর দেহ, উপরে সিলিং থেকে ঝুলন্ত মা! ১২ বছরের মেয়েকে ‘খুন’ করে নিজেকেও শেষ করলেন বধূ!
কিন্তু দুই ভারতীয় পর্যটকের কুকীর্তি চাপা থাকেনি৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান দুই যৌনকর্মী৷ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুই ভারতীয় পর্যটকই বিচারকের কাছে নমনীয়তা এবং হালকা শাস্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। একজন দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলতে বলতে আরোক্কিয়াস্বামী বলেন, ‘‘গত বছর আমার বাবা মারা গিয়েছেন। আমার তিন বোন আছে, যাদের মধ্যে একজন বিবাহিত, এবং আমাদের কাছে কোনও টাকা নেই। সেই কারণেই আমরা এটা করেছি।’’ রাজেন্দ্রন বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী এবং সন্তান ভারতে একা থাকে, এবং তারা আর্থিকভাবে কষ্ট পাচ্ছে।’’ সিঙ্গাপুর দৈনিকের প্রতিবেদন অনুসারে, যারা ডাকাতির সময় স্বেচ্ছায় আঘাত করে তাদের ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে ১২ বার বেত্রাঘাত করা যেতে পারে।