অর্থাৎ সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এই নিয়ে আমেরিকায় তিন জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হল। যদিও শ্রেয়সের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় এই ঘটনা নিয়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আর এহেন ঘটনা বারবার ঘটার ফলে ভারতীয় পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আপনার শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধে নেই তো? এই খাবারগুলি খেয়ে নেওয়ার আগে একটু ভাবুন!
advertisement
এদিকে নিউ ইয়র্কে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেল বলেন, শ্রেয়স রেড্ডি বেনিগেরি নামে ওই ছাত্রের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অস্বাভাবিকতার হদিশ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, কনস্যুলেট ওই মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আর সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে মলত্যাগের সময় এই বিশেষ জিনিস দেখলে সাবধান! রেকটাল ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে
জানুয়ারির গোড়ার দিকে জর্জিয়ায় ২৫ বছর বয়সী ভারতীয় ছাত্র বিবেক সাইনিকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিলেন এক উদ্বাস্তু। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই মাদকাসক্ত উদ্বাস্তু একটি হাতুড়ি দিয়ে বিবেকের মাথা এবং মুখ থেঁতলে দেয়। আসলে জর্জিয়ার লিথোনিয়ার ওই কনভেনিয়েন্স স্টোরে পার্ট-টাইম কাজ করতেন ওই ছাত্র। বেশ কয়েক দিনের জন্য ওই উদ্বাস্তুকে খাবার এবং আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু সেটা দিতে অস্বীকার করায় রাগের মাথায় তাঁকে খুন করে উদ্বাস্তু।
সম্প্রতি আমেরিকায় এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন বিবেক।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকেই উদ্ধার হয়েছিল ভারতীয় ছাত্র নীল আচার্যের দেহ। একদিন নিখোঁজ থাকার পরে পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণও স্পষ্ট নয়। আমেরিকার ইন্ডিয়ানার পশ্চিম লাফায়েতের পুলিশ অফিসাররা মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।