যৌথ অভিযানে ভারতীয় বিমান বাহিনী C-17 ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফটকে এয়ারড্রপের মাধ্যমে নামায়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি পোস্টে আইএএফ কমব্যাট রাবারাইজড রেইডিং ক্রাফ্ট (সিআরআরসি) বোট এবং মার্কোস কমান্ডোদের এয়ারড্রপকে দুই বাহিনীর মধ্যে “যুগলবন্দীএবং একত্রীকরণের অসাধারণ প্রদর্শন” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী এক্সে লিখেছে, ‘যুগলবন্দী ও একত্রীকরণের অসাধারণ প্রদর্শন। জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আরব সাগরে মার্কোসের সঙ্গে মিলে ভারতীয় বিমান বাহিনী C-17 কমব্যাট রাবারাইজড রেইডিং ক্রাফ্ট (CRRC) বোটের নিখুঁত এয়ারবোর্ন ড্রপ চালিয়েছে’।
advertisement
ভারতীয় উপকূল থেকে ২৬০০ কিমি দূরে প্রায় ১০ ঘণ্টার উড়ানে বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ এমভি রুয়েনের নাবিকাদের উদ্ধারকাজ চালানো হয়। সম্প্রতি সোকোত্রার ইয়েমেনি দ্বীপের কাছে সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছিল। ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান নেভির সঙ্গে নির্বিঘ্নে অভিযান চালিয়ে জাহাজে আটকে থাকা ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে’।
শনিবারই পণ্যবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে ঘিরে ফেলে ভারতীয় নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীর বিশেষ বাহিনী মেরিন কম্যান্ডো ফোর্স, যা মার্কোস নামে পরিচিত, জাহাজে অভিযান শুরু করে। নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যৌথ অভিযানে ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় নির্বিঘ্নে উদ্ধার করা হয় ১৭ জন নাবিককে’।
ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ১৪০০ এনএম (২৬০০ কিমি) দূরে এমভি রুয়েনকে আটকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধবাহী জাহাজ আইএনএস কলকাতা। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে আই এনএসসু ভদ্রা, HALE RPA, P8I সামুদ্রিক টহল বিমান এবং MARCOS। এয়ারড্রপের মাধ্যমে নামানো হয় C-17 বিমান।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর থেকে হাইজ্যাক, হাইজ্যাকের চেষ্টা এবং সন্দেহজনক পরিস্থিতি থেকে অনন্ত ১৭ বার সাগরে অভিযান চালিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ রক্ষা করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচাতে পূর্ব লোহিত সাগরে কমপক্ষে একডজন যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।