ঢাকা: পেঁয়াজ আমদানির জন্য শেষ পর্যন্ত ভারতকেই বেছে নিল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রবিবার ভারত থেকে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আমদানি অনুমতিকে সংক্ষেপে আইপি বলা হয়। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে এই আইপি দেওয়া হয়। তবে কোনও আমদানিকারকই ৩০ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন না। আবার কেউ দ্বিতীয়বারের জন্য আমদানির আবেদন করতে পারবেন না। আমদানির অনুমতির বা আইপির মেয়াদ থাকবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকা নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্য
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে গত শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রক জানিয়েছিল, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, গত ১ অগাস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আইপির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই পাবেন এই সুযোগ।
বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আইপির জন্য এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০টি আবেদন জমা পড়েছে। রবিবার ৫০টি আবেদন বাছাই করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে। সার্ভারে যাঁরা আগে ঢুকতে পেরেছেন, তাঁরাই আইপির জন্য বিবেচিত হয়েছেন।
একসময় ভারত থেকে রফতানি হওয়া পেঁয়াজের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ। তবে গত আট মাসে বাংলাদেশ খুবই সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজ কিনেছে ভারত থেকে। যদিও ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম ভারতের স্থানীয় বাজারের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি।
