বহু লড়াই, যুক্তি, তর্ক, চড়াই-উতরাইয়ের দিনগুলো অবশেষে শেষ ৷ শেষ পর্যন্ত শান্তি ৷ এল সাফল্য ৷ উড়ল রামধনু পতাকা ৷ হাজার হাজার মানুষ রামধনু পতাকা নিয়ে নেমে পড়ল রাস্তায় ৷ এ দিন তাইওয়ান পার্লামেন্টে সমকামী বিবাহ বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটি পর্যন্ত হয়। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি বিলটিকে সমর্থন করেন। পক্ষে ভোট পড়ে ৬৬টি আর বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ২৭টি। স্বাভাবিকভাবেই বিলটি পাশ হয়ে যায় পার্লামেন্টে। বিলটি পাশ হয়ে যাওয়া মানেই তা আইনে পরিণত হয়। আর দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট থাই ইং ওয়েনের একই পদে থাকার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ২০২০ সালে এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এই সমকামী বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পাওয়ায় ফের তিনি ক্ষমতায় ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন সংসদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে টুইট করেছেন ৷ তিনি এই সিদ্ধান্তকে ‘সত্যিকারের সমতার দিকে বড় পদক্ষেপ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৷ প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শুরুতে সমকামী বিয়ের পক্ষে কথা বললেও পরে ভোটার হারানোর আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে গড়িমসি করছিলেন ৷ তবে শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি পাস হওয়ায় এবং এতে প্রেসিডেন্টের দলের সমর্থন থাকায় জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে সাই ইং-ওয়েনের পুনর্নিবাচিত হওয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠতে পারে ৷ এ দিকে, সংসদে ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে সমকামী ও তাঁদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা বৃষ্টি সত্ত্বেও সংসদের বাইরে হাজির হয়েছিলেন ৷ রায় পক্ষে আসার পর তাঁরা একে অপরকে ধরে আলিঙ্গন করেন এবং রংধনু পতাকা উড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন ৷