অভিযোগ, গত শনিবার একটি জনসভা থেকে পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক এবং একজন মহিলা বিচারককে উদ্দেশ করে হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়৷
গত সপ্তাহেই তাঁর সহযোগী শাহবাজ গিলকে গ্রেফতার করা হয়৷ গ্রেফতারের পর শাহবাজের চিকিৎসা করানো নিয়ে ক্ষোভ জানাতে গিয়েই পুলিশ কর্তা, বিচারক, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করে বসেন ইমরান৷
advertisement
আরও পড়ুন: "যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়, ভারতের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চায় পাকিস্তান": পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন বিষয়ক মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ গতকালই জানান, ইমরানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে৷ সরকারি সূত্রের মতে, পর পর বেশ কয়েকবার সরকারি বিভিন্ন দফতর এবং বিশেষত দেশের সেনাবাহিনীকে নিশানা করে মন্তব্য করেছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান৷ সানাউল্লাহর দািব, দেশের সেনাবাহিনীর নিচুতলার কর্মীদের অফিসারদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়েছিলেন শাহাবাজ গিল৷ এর পরেই লাসবেলায় ছ' জন সেনা কর্তাকে হত্যা করা হয়৷
ইমরানের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে দেশের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং আইন মন্ত্রকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীন বিষয়ক মন্ত্রী৷ ইমরানের এই উস্কানিমূলক বক্তব্যের সম্প্রচারের উপরেও পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলির উপরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷