পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওই সাক্ষাৎকার প্রচার হয় সোমবার। এতে তিনি বলেন, পাকিস্তানে তাঁর মেয়াদে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিষয়ে তিনি যখন যত্নশীল হচ্ছিলেন, তখন পাক সেনাবাহিনীর ওই ধরনের বর্বরতা তাঁকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। নিজের শাসনকাল সম্পর্কে ইমরান দাবি করেন, এস্টাবলিশমেন্ট সাংবাদিকদের কাছ থেকে ধেয়ে আসা সমালোচনায় বিরক্ত ছিল।
advertisement
ওই সময় কিছু সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাদের ভূমিকা ছিল। ইমরান জানান, চারজন সাংবাদিক দেশ ছেড়েছিলেন। আর পঞ্চম জন ছিলেন আরশাদ শরীফ। দেশ ছাড়ার আগে তিনি (আরশাদ) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখে জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী বিপদের মুখে। কিন্তু কেনিয়ায় গিয়ে আরশাদ খুন হলেন।
গণমাধ্যমে নিজের উপস্থিতির ওপর সরকার এবং সেনাবাহিনীর বিধি-নিষেধ (ব্ল্যাকআউট) নিয়েও কথা বলেন ইমরান। ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেন, কোনও গণমাধ্যমেই এখন তাঁর নাম নেওয়া হয় না। সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ভাগাভাগির পদ্ধতিকে ‘হাইব্রিড সিস্টেম’ আখ্যা নিয়ে ইমরান বলেন, এই ব্যবস্থা পাকিস্তানে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারমূলক কাজ করার কর্তৃত্বমূলক ক্ষমতা থাকতে হবে। কিন্তু এটি করা যায় না, কারণ নির্বাচিত হওয়ার পর কাজ করার ক্ষমতাই ভাগাভাগি করতে হয় এবং সেনাপ্রধানের ভেটো (আমি মানি না) ক্ষমতা থাকে।
দেশে প্রভাবশালী শরিফ ও ভুট্টো পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মাফিয়াদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করলে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়া তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন। ইমরান নিশ্চিত সেনার এমন লোকদের কেউ ক্ষমা করবেন না। এতে পৃথিবীর কাছে তারা পাকিস্তানের নাম ছোট করছে। তাই লজ্জা লাগে কপ্তানের।