সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের এই প্রধান বন্দরগুলো আগামী ২৭ বছরে আর কাজ করতে পারবে না। লয়েডস রেজিস্ট্রার এবং লয়েডস রেজিস্ট্রার ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল মেরিটাইম ট্রেন্ডস ২০৫০-এর গবেষণায় বলা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন শিপিং সেক্টরের জন্য একটি বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠছে। ,
advertisement
সমীক্ষা জানিয়েছে যে বিশ্বের বন্দরগুলি ইতিমধ্যেই আবহাওয়ার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যার মধ্যে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম জলপথ পানামা খালে খরা-বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে৷ প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে বিশ্বের মোট ৩,৮০০টি বন্দরের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত যা জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক পরিণতির সাক্ষী।
আরও পড়ুন – পুজোয় বাজারে ইলিশ সস্তা হবে? ব্যবসায়ীরা দিলেন বড় খবর, শুনলে আপনারই লাভ
বিশ্বের সবচেয়ে ভঙ্গুর বন্দরের তালিকায় রয়েছে চিনের সাংহাই, নেদারল্যান্ডের হিউস্টন এবং মেক্সিকোর লাজারো কার্ডেনাস যেটি বিশ্বের বৃহত্তম বন্দরগুলোর একটি। জলের স্তর মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার বাড়লে ২০৫০ সালের মধ্যে এই বন্দরগুলি অকেজো হয়ে যাবে। আর একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য বন্দরের কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এমন কী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নেদারল্যান্ডে অবস্থিত রটারডামের মতো কিছু বন্দর ইতিমধ্যেই প্রভাবিত হতে শুরু করেছে এবং চাপের মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে সমুদ্র বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলি এবং পরে বাকি দেশগুলিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি ও বাজারের চাহিদা মেটাতে হলে এসব বন্দরের লজিস্টিক বা পরিকাঠামোর কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। সাংহাইয়ের মতো বন্দরগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ গবেষকরা বলছেন হল্যান্ডের মাসল্যান্ড ব্যারিয়ার এবং লন্ডনের টেমস ব্যারিয়ারের মতো বন্যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সাংহাইতে কার্যকর হতে পারে৷