দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বিতর্ক মেটাতে আন্তর্জাতিক আদালত তৈরি করা হয়েছিল৷ ১০ সদস্যের আন্তর্তাজিক আদালতই ভাগ্য নির্ধারণ করবে কুলভূষণ যাদবের৷ কুলভূষণ নিয়ে ১৮ ও ২১ ফেব্রুয়ারি গণ-শুনানির তারিখ ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক আদালত৷ সেখানে পাকিস্তানি আইনজীবীদের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন সে পাক অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মনসুর। পাক বিদেশ দফতরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা মহম্মদ ফয়জল। ভারতের হয়ে সেখানে সওয়াল করবেন হরিশ সালভে। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষ হলে, সবদিক খতিয়ে দেখে রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক আদালত।
advertisement
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফুঁসছে ভারতবাসী৷ পাকিস্তানের জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিতে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েচে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' স্লোগান উঠছে৷ এ হেন পরিস্থিতি কুলভূষণ যাদব মামলার শুনানি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ৷
গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল পাক সামরিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কুলভূষণকে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, কুলভূষণ আদতে ভারতীয় গুপ্তচর। ইরান থেকে গোপনে পাকিস্তানে ঢুকেছিলেন। তাই ২০১৬-র ৩ মার্চ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দিল্লির তরফে অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের ব্যবসার প্রয়োজনে ইরানে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেই সময় আইএসআই তাঁকে অপহরণ করে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়।
আরও ভিডিও: #PulwamaAttack : 'অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে, এর বড় মাশুল গুণতে হবে' : প্রধানমন্ত্রী