আন্তঃমহাদেশের বাণিজ্যের গতি হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে যে নতুন হামলার প্রয়োজন ছিল। এই আঘাতের ফলে হুথিদের ক্ষমতা হ্রাস পাবে। লোহিত সাগর, বাব-এল-ম্যানডেব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে বাণিজ্য জাহাজগুলিতে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও কমবে।
৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে আমেরিকার হানা— USCENTCOM–এর কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেছেন, ‘ইরান-সমর্থিত হুথি সন্ত্রাসবাদীদের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক নাবিকদের বিপদে ফেলছে। দক্ষিণ লোহিত সাগর এবং সংলগ্ন জলপথে বাণিজ্যিক নৌ-পথ বিপর্যস্ত হচ্ছে।’
advertisement
গত সপ্তাহে, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বেশ কয়েকটি দেশ একযোগে ইয়েমেনে হুথিদের প্রায় ৩০টি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এর আগে বুধবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর তরফে জানান হয়, নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ইয়েমেনের হুথিদের ড্রোন হামলায় এডেন উপসাগরে আমেরিকার একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে হুথিরা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় হামলার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘আত্মরক্ষায় পদক্ষেপ করতেই হয়!’ পাকিস্তানে ইরানের মিসাইল হামলার পর বলল ভারত
X-কে তথ্য দেওয়ার সময়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়েছিল, হুথিদের এই সর্বশেষ হামলায় কেউ হতাহত হননি। তবে কিছু ক্ষয়ক্ষতি অবশ্যই হয়েছে। ইয়েমেনের বেশিরভাগ অঞ্চলেই হুথিদের নিয়ন্ত্রণ। তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে বলে দাবি করেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে আমেরিকা ও ব্রিটেনের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাদের আক্রমণ আর প্রসারিত করার হুমকি দিয়েছে হুথিরা।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইয়েমেনে হুথি সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যা দিয়েছে। জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবুও হুথি আক্রমণ জারি রয়েছে। তারই ফলশ্রুতি চলতি সপ্তাহে লোহিত সাগর অঞ্চলে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন জাহাজে হামলার করেছে।
ইরানকে সতর্ক করেছে আমেরিকা— বুধবার ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে একতরফা আক্রমণকারী ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। সেটি এডেন উপসাগরে মার্কিন মালিকানাধীন এমভি জেনকো পিকার্ডিতে হামলা করে।
তারপরেই আমেরিকা ইরানের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি জারি করেছে যাতে তারা অবিলম্বে হুথিদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে। পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বুধবার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও হামলা প্রতিরোধে সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।