পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সরকারি পরীক্ষায় পাশ করে পাকিস্তানের অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে (পিএএস) প্রথমবারের জন্য নির্বাচিত হলেন কোনও হিন্দু মহিলা। পাক সিন্ধ প্রদেশের শিকারপুরের বাসিন্দা সানা রামচাঁদ পেশায় চিকিৎসক। তিনিই এই নতুন কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এ বারের এই সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট ১৮ হাজার ৫৫৩ জন। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ২১১ জন পাশ করেছেন। তারপর তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে, হয়েছে মৌখিক পরীক্ষা ও মানসিক পরীক্ষাও। এরপর যখন চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে, তখনই নির্বাচিতদের নির্দিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।
advertisement
ফল প্রকাশে পর তাই উচ্ছ্বসিত সানা টুইট করে জানিয়েছে, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমি পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে। আমার মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানাই’। এটিই পাকিস্তানের প্রশাসনিক পরীক্ষাগুলির মধ্যে কঠিনতম বলে ধারণা করা হয়। পরীক্ষায় পাশ করেন মাত্র ২ শতাংশ পরীক্ষার্থী। পাকিস্তানে এই পরীক্ষার মাধ্যমে পিএএস নির্বাচনের পরের ধাপের পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিস, ফরেন সার্ভিসের নির্বাচন করা হয়। এদের মধ্যে পিএএস-ই কঠিনতম।এই বছরের পরীক্ষায় মোট ৭৯ জন মহিলা উত্তীর্ণ হয়েছেন। যাঁদের বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হবে।
এই তালিকায় শীর্ষ স্থানেও রয়েছেন একজন মহিলা, যাঁকেও পিএএস-এ নির্বাচিত করা হয়েছে। সানার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এলাকার প্রধান। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর সতীর্থরাও। সানা জানিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনদিন হিংসার শিকার হননি। প্রতিবেশী বা সহপাঠী মুসলিমদের থেকে সবসময় ভাল ব্যবহার এবং সাহায্য পেয়েছেন। ইসলাম ধর্মের নন বলে কোনও হেনস্তার মুখে পড়তে হয়নি। এই সাফল্যে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীদিনে সাধারণ মানুষের সেবা করবেন বলে জানিয়েছেন।