এই অবস্থায় শনিবার, হিজবুল্লা গোষ্ঠীর তরফ থেকে একের পর এক রকেট ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে৷ যদিও ইজরায়েলের দাবি তাঁদের আয়রন ডোম রকেটগুলোকে আকাশেই শেষ করতে সক্ষম হয়েছে৷
ইরানে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পরই দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আক্রমণে ঝাঁজ বাড়িয়েছে, এই দু’পক্ষই৷
advertisement
এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে হিজবুল্লা গোষ্ঠী৷ যদিও তাঁরা হামলার কারণ হিসেবে হানিয়ার কথা উল্লেখ করেননি৷ তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লেবাননের দুই গ্রামে ইজরায়েলের রকেট বর্ষণ এবং হিজ়বুল্লার সামরিক বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যার বদলা নিতে তাঁদের এই হামলা৷
ইজরায়েলের নর্দার্ন গোলান হাইটসের মজদাল শামস গ্রামে রকেট হামলা চালানোর পরই হিজবুল্লাকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু৷ তারপরই ইজরায়েলি রকেট হামলায় মৃত্যু হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদের৷
এই ঘটনায় নেতানিয়াহু চুুপ করে যে বসবে না, তা বলাই বাহুল্য৷ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য পশ্চিম এশিয়ায় অস্ত্র মোতায়েন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন৷
এই পরিস্থিতিতে হিজবুল্লা গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ হলে ইরানও চুপ করে বসে থাকবে না৷ ইরানও ইতিমধ্যে ইজরায়েলকে হুমকি দিয়েছে৷ সব মিলিয়ে মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধের মেঘ ক্রমশ ঘন হচ্ছে৷