সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইয়োসি তাঁর গত কয়েকদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘সিডরুটের কাছে এক মহিলার দেহ দেখতে পাই৷ বাচ্চাটা তখনও মেয়েটির পেটে৷ নাড়ির সঙ্গে লেগে রয়েছে৷ মহিলাকে খুন করে, তার পেট ফালা ফালা করে গর্ভস্থ সেই শিশুটিকেও কুপিয়েছে হামাস জঙ্গিরা৷’’
advertisement
এখানেই শেষ নয়, সিডরুটের রাস্তায় যত্রতত্র পড়েছিল অসংখ্য নারীর দেহ৷ সেই দেহ গুলো এমন ভাবে রাখা ছিল, যা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে তাঁদের খুন করার আগে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ হাত পিছনে বেঁধে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে কয়েকশো মানুষকে৷ অথবা, পুড়িয়ে মারা হয়েছে জীবন্ত৷ মৃতদের মধ্যে ২০ জন শিশুও ছিল৷
হামলার পরে উত্তর গাজার নিকটবর্তী আশোদে যাচ্ছিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা৷ স্থানীয় পরিস্থিতির ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে সেই দলেরই এক সদস্য বলেন, ‘‘গাড়িগুলো সব উল্টে পড়েছিল৷ রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ৷ যে রাস্তাটা যেতে মাত্র ১৫ মিনিট হয়ত সময় লাগার কথা, সেই রাস্তা পেরতে আমাদের সময় লেগেছিল ১১ ঘণ্টা৷ কারণ, আমরা রাস্তার দু’ধার থেকে প্রত্যেকটা মৃতদেহ কুড়োচ্ছিলাম৷ তারপর বরে নিচ্ছিলাম প্যাকেটে৷ কিন্তু, ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারিনি৷ শুধু আমি নয়৷ আমার দলের কেউ-ই পারিনি৷’’
আরও খবর:রান্নাঘরে বড্ড বেড়েছে ইঁদুরের উৎপাত? সামান্য বেলুনেই হবে কিস্তিমাত, ঠিক এই ভাবে
ইয়োসি জানান, তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা গত কয়েক দশক ধরে ইজরায়েলে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ করছেন৷ কিন্তু, এবারের নৃশংসায় তাঁরা রীতিমতো ব্রেকিং পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছেন৷
ইজরায়েলের দক্ষিণে সিডরুট ও অ্যাশকেলন গাজা স্ট্রিপের সীমান্ত সংলগ্ন শহর৷ গত ৭ অক্টোবর সেখানে হামলা চালায় হামাসের সশস্ত্র বাহিনী৷ বোমা-গুলির পাশাপাশি, ধারাল অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ, ধর্ষণকে হাতিয়ার করে কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দেয় গোটা এলাকাকে৷ গত ছ’দিনে হামাসের আক্রামণে প্রায় ১২০০ ইজরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে৷