ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির ঘটনায় ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ৷ জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে সংঘর্ষ৷ গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ধৃত সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷
আরও পড়ুন: ‘অপ্রিয় সত্যি কথা বলতে নেই!’ আরজি কর কাণ্ড টেনে বিধানসভায় বিস্ফোরক মমতা
advertisement
শুক্রবার আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেই বিবৃতিতে প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।’
পাশাপাশি, ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তোপ দেগে হাসিনা জানিয়েছেন, ‘চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিল, আর তাঁকে এভাবে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসবাদী। তারা যেই হোক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে। অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
এর পাশাপাশি ইউনূস সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছেন হাসিনা৷ সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার দাবিও তুলেছেন তিনি৷