বইটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। পম্পেও দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতের বিমান হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে এই যুদ্ধ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। মার্কিন কূটনীতিক জানিয়েছেন, সে সময় তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
সুষমা তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিমান হামলার ঘটনায় পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। ভারতও তার পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪১ আধা সামরিক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়।
advertisement
এরপরই পাকিস্তান সীমান্তের ভেতর বিমান হামলা চালায় ভারত। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমান ধরা পড়েন পাকিস্তানের হাতে। পম্পেও বলেন, ভিয়েতনামের হ্যানয়ে থাকার সময় ওই রাতের কথা কখনোই ভুলব না। সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করাই শুধু যথেষ্ট ছিল না।
কাশ্মীরের সীমান্ত নিয়ে কয়েক দশক ধরে চলে আসা বিরোধের কারণে ভারত ও পাকিস্তান তখন একে অপরকে হুমকি দেওয়া শুরু করেছিল। পরিস্থিতি যথেষ্ট সিরিয়াস ছিল। মাইক পম্পেও লিখেছেন, এই ভয়ংকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা যা করেছি, তা অন্য কোনো দেশ করতে পারেনি। জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ডেভিড হাল পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনিও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অগ্রাধিকারের বিষয়টি জানতেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজে এবং ভারত পাকিস্তানের উচ্চপর্যয়ের নেতৃত্ব আলোচনা করে বিষয়টি খন্ডন করতে পেরেছিল এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা মনে করেন পম্পেও।