ভাইরাল এই ক্লিপটি এই বছরের এপ্রিলে প্রকাশ্যে এসেছিল। একটি ইন্টারভিউতে এলন যখন তাঁর ট্যুইটার (Twitter) কেনার ইচ্ছের কথা ঘোষণা করেন তখনই এটি প্রকাশ্যে আসে। তারপর অবশ্য ট্যুইটার কেনার প্রস্তাব স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
ওই ভিডিওটিতে এলন বলেছেন যে, ‘অনেক সময়েই মানুষ বিভ্রান্তি থেকে মনে করেন ইকোনমি মানেই অর্থ। আসলে অর্থ হল পণ্য ও পরিষেবার বিনিময়ের একটি ডেটাবেস। তাই অর্থের নিজস্ব শক্তি নেই। আসলে প্রকৃত অর্থনীতি হল পণ্য ও পরিষেবার বিনিময়।‘ ওই একই ভিডিও আবার ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে, যিনি শুধুমাত্র বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তাঁর পক্ষেই বলা সম্ভব যে অর্থের কোনও ক্ষমতা নেই।
advertisement
https://twitter.com/cb_doge/status/1550819912725123072?s=20&t=bitNXffFjtUIDLJ6T1GMgg
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে, অ্যামাজনের (Amazon) প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের (Jeff Bezos) পরে এলন মাস্ক ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। এরপর ২০২২ সালে এলন ২১৯ বিলিয়ন সম্পদের মালিকানার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।
জাল এবং স্প্যাম অ্যাকাউন্টের ইস্যুতে এলন মাস্ক ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ট্যুইটারের মালিকানা সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। কার্যত বর্তমানে ট্যুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।
আইনি লড়াইয়ে ট্যুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে জয়লাভ করেছে। এর কারণ অবশ্য এই আইনি লড়াইটি ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে হাজির হওয়ায় বিচারক দ্রুত এই মামলা সংক্রান্ত রায় দিয়েছেন।
ট্যুইটার সম্প্রতি ১.১৮ বিলিয়ন ডলারের লোকসানের দায় চাপিয়েছেন এলন মাস্কের ওপরে। অন্য দিকে, মাস্ক ট্যুইটারের অধিগ্রহণ সম্পর্কিত অনিশ্চয়তার জন্য এই ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।