দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করেছে। যার ফলে ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল রাত ৮.৩০ টায় সারাদেশে বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছে। শক্তি সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে এবং খাইবার পাখতুনখোয়া ব্যতীত সমস্ত প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন- বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম! স্রেফ ওষুধেই নির্মূল ক্যান্সার, চাঞ্চল্য চিকিৎসা মহলে!
advertisement
একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিন্ধু, পঞ্জাব এবং বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীরা ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য দুই দিন সময় চেয়েছেন, কিন্তু এই পদক্ষেপে সম্মত হয়েছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী খুররম দস্তগীর সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাজার তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া এবং ঘরে বসে কাজ করার ব্যবস্থা বিদ্যুৎ সাশ্রয় ঘটাতে পারে।
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২,০০০ মেগাওয়াট এবং দেশের প্রয়োজন ২৬,০০০ মেগাওয়াট, জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, দেশে প্রায় ৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জ্বালানির ব্যবহার রোধ করতে এবং জুনের শেষ নাগাদ বিদ্যুতের লোডশেডিং ধীরে ধীরে দিনে দুই ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে সরকারি অফিসগুলিতে শনিবার ছুটি চালু করেছে।
আরও পড়ুন- ভাইরাল ভিডিও: ৫ বছরের শিশুকে হাত পা বেঁধে দুপুরের রোদে ছাদে ফেলে শাস্তি মায়ের!
ডেইলি টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশে দেশের রাজধানীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী করা হচ্ছে। ইসলামাবাদ পুলিশ এবং শহর প্রশাসনকে কঠোরভাবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আদেশ লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিও নিউজ আরও জানিয়েছে, রাজধানীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র একটি খাবারের অনুমতিই দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মঙ্গলবার জানান, তেল ও গ্যাস কেনার জন্য পাকিস্তানের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদের পেট্রোল পাম্পের বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে, যার ফলে নাগরিকরা স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।