কিন্তু জীবনের শত টানাপড়েনেও লেখাপড়ার ইচ্ছে চলে যায়নি তাঁর মন থেকে। এমনকি, তিনি নিশ্চিত করেছেন যাতে তাঁর মেয়েরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। ছেলেদের পাশাপাশি স্কুলে পাঠিয়েছেন মেয়েদেরও। যাতে মেয়েরা স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়ে পড়াশোনায় ফাঁকি না দেয়, তার জন্য জুবাইদা ছিলেন সদা সচেষ্ট। মেয়েদের স্কুলের সামনে বসে পড়তেন টুকিটাকি জিনিস নিয়ে। বিক্রি করে সামান্য উপার্জন হত। আবার স্কুলের দিকে থাকত নজরও।
advertisement
আরও পড়ুন : কাজের বাড়িতে সকলকে মিষ্টিমুখ করালেন পরিচারিকা, কারণ জানলে আপনার চোখেও জল আসবে
অবশেষে জীবনের উপান্তে পৌঁছে পড়াশোনার সুযোগ পেলেন জুবাইদা। মিশর সরকারের উদ্যোগে নিরক্ষরতা দূরীকরণ প্রকল্পে তাঁর কাছে অক্ষরজ্ঞানের সুযোগ এল। এ বার আর এই সুযোগ হাতছাড়া নয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথম বার স্কুলে যান। এই প্রকল্পে গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মিশর জুড়ে মোট ৯ হাজার শিক্ষাকেন্দ্র চলেছে।