এবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত টোঙ্গা দ্বীপপুঞ্জে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরই আশপাশের এলাকায় কিছুক্ষণের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় বলে জানিয়েছে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১৬ কিলোমিটার গভীরে। জার্মান সংস্থাটি শুরুর দিকে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৬ হতে পারে বলে জানিয়েছিল। পরে তারা ও মার্কিন সংস্থা ইউএসজিএস ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ বলে নিশ্চিত করে।
advertisement
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হবে, ২১ দিন আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভারতের এই তরুণ জ্যোতিষী!
ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি হয়। জানানো হয়, টোঙ্গার উপকূল বরাবর ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট বিপজ্জনক সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিপজ্জনক ঢেউ দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পর ওই সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
পলিনেশিয়ান রাজ্য টোঙ্গার মধ্যে ১৭০টিরও বেশি দ্বীপ অন্তর্ভুক্ত, সেগুলির বেশিরভাগই জনমানবহীন। সাংবিধানিকভাবে রাজতন্ত্রের অধীনে চলা এই দ্বীপপুঞ্জের লোকসংখ্যা মাত্র এক লাখের সামান্য বেশি, বেশিরভাগেরই বাস রাজ্যটির প্রধান দ্বীপ টোঙ্গাটাপুতে।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে থাকা হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’আপেই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ও তার ফলে সৃষ্ট সুনামি দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় আছড়ে পড়েছিল। ভয়াবহ ওই দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনা তেমন ঘটেনি। তবে অর্থনৈতিক দিক থেকে ওই দেশ মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন- ঘিবলি জ্বরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব! কিন্তু, কোথা থেকে এল এই অদ্ভুত নাম?
ওদিকে, মায়ানমারে ভূমিকম্পের জেরে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে ১৭০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানাচ্ছে সরকারি হিসেব। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও।