এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে, এবং যে কোনও সময় বড় ধরনের কম্পন হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ জনগণকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ৯.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে বেসামাল হয় চিলি! পাল্টায় মানচিত্র, সুনামির গ্রাসে জাপান, নিউজিল্যান্ড…
ভূমিকম্পের ক্ষতি কমাতে ফায়ার সার্ভিস কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, দুর্বল ভবনের সংস্কার ও শক্তিশালীকরণ, অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা জোরদার করা, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জলের লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
advertisement
এছাড়াও নিয়মিত ভূমিকম্প মোকাবিলার মহড়া ও সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করা, জরুরি যোগাযোগ নম্বর প্রদর্শন, স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সংরক্ষণ।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ঘটনা! ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার মডেল, ভাঙা মেরুদণ্ড, শরীরে একাধিক চোট…
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলেও সাবডাকশন জোনের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। অতীতে ১৮৯৭ ও ১৯৫০ সালে দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে, যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছিল।
এ পরিস্থিতিতে নাগরিকদের ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। শক্তিশালী কম্পনের সময় টেবিল বা শক্ত কাঠামোর নিচে আশ্রয় নেওয়া, লিফট ব্যবহার না করা এবং ভবন থেকে দ্রুত বের হয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্পের সময় কী করবেন না
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ানো সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ হতে পারে। অনেকে ভয় পেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু এতে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া বস্তু, জানালার কাচ বা বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে। জানালার কাছে বা কাচের দরজার পাশে দাঁড়াবেন না, কারণ এগুলো ভেঙে গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে। লিফট ব্যবহার করবেন না, যেহেতু ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আপনি আটকে পড়তে পারেন। দরজার ফ্রেমের নিচে দাঁড়ানোও নিরাপদ নয়, কারণ এটি সহজেই ভেঙে পড়তে পারে। ভারী আসবাবপত্র, আলমারি বা শেলফের পাশে দাঁড়াবেন না, কারণ ভূমিকম্পের কম্পনে এগুলো উল্টে গিয়ে আহত করতে পারে।