জাপানের আবাহাওয়া দফতর অনুযায়ী জানান হয়েছে, এই কম্পনের অভিঘাত রিখটার স্কেলে প্রায় ৬.৯। এই কম্পনের উৎস পূর্ব উপকূলীয় জাপানের দক্ষিণ প্রধান দ্বীপ কিউসু-এর ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়েই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে ওই দুই উপকূলীয় দ্বীপ অঞ্চলকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানান হয়েছে, এই ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়ে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে জাপানের ওই দক্ষিণ কিউসু এবং তার নিকটবর্তী অঞ্চল সিককোকু অঞ্চলে। সেক্ষেত্রে ঢেউয়ের উচ্চতা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩.৩ ফুট।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন হামাস প্রধান সিনওয়ার, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সংকল্প ইজরায়েলের
এর আগে, বহুবার ভূমিকম্পে এবং সুনামিতে ধ্বস্ত হয়েছে এই সূর্যোদয়ের দেশ। ২০১১ সালের ৯ই মে ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামিতে তছনছ হয়ে গেছিল গোটা জাপান। রিখটার স্কেলে প্রায় ৯- ৯.১ মাত্রার অতিশক্তিশালী ভূমিকম্পে বারবার কেঁপে ওঠার পরেই, জারি হয়েছিল সুনামি সতর্কতা। একের পর এক আকাশচুম্বী ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল জাপান। একের পর এক শহর ধ্বংস হয়ে যায়। খেলনার মতন ভেসে যায় গাড়ি। মারা যান বহু মানুষ। পারমাণবিক চুল্লিতে জল ঢুকে গিয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালের এই সুনামিকে এই শতাব্দীর সবথেকে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবেই মনে করেন জাপানবাসীরা।
তাই এই ভূমিকম্পের পরবর্তীতেও সুনামির সতর্কতা জারি হওয়ার ফলে চিন্তার ভাঁজ গভীর হয়েছে জাপানবাসীর।