আরও পড়ুন: এ কেমন মেয়ে! অসুস্থ মা-এর উপর কুকুর লেলিয়ে চরম শাস্তি, জানুন সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা…
এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে ভূমিকম্পের ফলে কিছু এলাকা কেঁপে ওঠে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
USGS-এর তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে শেকিং-সম্পর্কিত প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির জন্য গ্রিন অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যার অর্থ ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী আপডেটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, নিউজিল্যান্ড যে অঞ্চলে অবস্থিত, তা অস্ট্রেলিয়া এবং প্যাসিফিক প্লেটের সংযোগস্থলে হওয়ায় এটি পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। প্লেটগুলোর সংঘর্ষের উচ্চ গতির কারণে এখানে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভূমিকম্পের সময় করণীয়
✅ ভেতরে থাকলে:
সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসুন, টেবিল বা শক্ত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন এবং সেটিকে শক্ত করে ধরে রাখুন।
যদি নিরাপদ আশ্রয় না থাকে, তাহলে মাথা ও ঘাড় হাত দিয়ে ঢেকে নিন এবং দেয়ালের পাশে নিরাপদ স্থানে দাঁড়ান।
জানালা, ভারী আসবাবপত্র, কাঁচের বস্তু ও ঝুলন্ত জিনিসপত্র থেকে দূরে থাকুন।
লিফট ব্যবহার করবেন না, সিঁড়ি ধরে ধীরে নিচে নামার চেষ্টা করুন।
✅ বাইরে থাকলে:
খোলা জায়গায় যান, বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছ ও ওভারহেড ব্রিজ থেকে দূরে থাকুন।
যদি গাড়িতে থাকেন, তাহলে সরাসরি রাস্তার পাশে নিরাপদ স্থানে গাড়ি থামান, কিন্তু ব্রিজ বা ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়াবেন না।
✅ ভূমিকম্পের পর করণীয়:
পরবর্তী কম্পন (আফটারশক) আসতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।
গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন চেক করুন এবং লিকেজ থাকলে বন্ধ করে দিন।
আহতদের সাহায্য করুন এবং প্রয়োজনে ৯৯৯ বা জরুরি সেবার সাথে যোগাযোগ করুন।
সরকারি ঘোষণার ওপর নজর রাখুন এবং কোনো গুজবে বিশ্বাস করবেন না।