প্রথম বছরে নজর কাড়ার পর মৈত্রীর পুজো মানুষের মনে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আর এবারের পুজো আরও বড়। চার দিনের পুজোয়ে সকাল বিকেল মিলিয়ে প্রায় ২০০ এর বেশি মানুষ যোগ দিচ্ছেন।এই অঞ্চলে এতো বড় পুজোর প্রস্তুতিতে উদ্যোক্তারা কোনও ত্রুটি রাখেননি। যতই হোক বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা! তাই সব আয়োজেনেই একটা ঘরোয়া আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকছে।
advertisement
একদিকে স্বাদে আহ্লাদে বাঙালিয়ানা পরিবেশন করতে ক্লাবের সদস্যরা নিজেরাই এবার হেঁসেলের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ অন্যদিকে রকমারি পেট পুজোর জন্য একদিন থাকছে খাওয়ারের ষ্টল, যেখানে নামি দামি স্থানীয় রেস্তোরাঁ পসরা সাজিয়ে বসবে। ভোজনরসিক বাঙালিদের জন্য কী নেই মেনুতে! খিছুড়ি থেকে পোলাও-বিরিয়ানি, মালপোয়া থেকে ছানার জিলিপি , মোগলাই পরোটা থেকে কচুরি , ফুচকা-চুরমুর -চপ-পমফ্রেট ফ্রাই -ডিমের ডেভিল আর সকাল সন্ধ্যে মায়ের ভোগ তো আছেই।
আরও পড়ুন Durga Puja 2022: আহেলী-র পুজোর ভোজে মিলবে জেলার স্বাদ!
ওদিকে আবার পুজোর আঙিনায় ক্লাবের সহ সভাপতি নিজেই পুরোহিত, তাই পুজোর সব আচার অনুষ্ঠান নিখুঁত ভাবে মেনে সকলকে খাঁটি বাংলার পুজোর স্বাদ দিতে বদ্ধ পরিকর তিনি৷ বাক্স ভর্তি পুজোর উপকরণ আনানো হয়েছে কলকাতা থেকে। পুজোর মজা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার জন্য , পুজোর ফ্যাশন,গান-বাজনা, হাসি-আড্ডা, ধুনুচি নাচ তো আছেই তবে এবারের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ মনোজ মিত্রের হাসির নাটক 'দন্তরঙ্গ'৷ উপস্থাপনায় মৈত্রীর সদস্যদের নিয়ে গড়া 'ঘরভোলা' নাট্যদল।
এখানেই শেষ নয় সরোদের তারে রাগাশ্রয়ী-আধুনিক সুরের মূর্ছনায় স্টুটগার্টবাসীকে আনন্দ দিতে আসছেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট শিল্পীরা। এতো বড় আয়োজনের মাধ্যমে মৈত্রীর উদ্দেশ্য একদিকে যেমন বাংলার তথা ভারতের সংস্কৃতিকে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া, অন্য দিকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ-মানুষের মেলবন্ধন সৃষ্টি করা।