ভয় ধরানো এই ঘটনা ধরা পড়েছে গাড়ির ড্যাশক্যামে৷ আহত ওই গাড়ি চালকের নাম ব্রায়ান কিপলিমো৷ মাস দুয়েক আগেই বেশি উপার্জনের খোঁজে মধ্যপ্রাচ্যে এসেছেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর ভোর ৫.৫৮ মিনিট নাগাদ ওই যাত্রীর বুকিং পান ব্রায়ান৷ গাড়িতে উঠে প্রথমে পিছনের আসনেই বসেছিলেন ওই যাত্রী৷ কিছুক্ষণ পর আচমকাই চালকের পাশের আসনে এসে বসেন তিনি৷
advertisement
অভিযোগ প্রথমে ওই গাড়ি চালকের বুকে আপত্তিকর ভাবে হাত দিয়ে ঘষতে শুরু করেন ওই যাত্রী৷ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বাধা দেন ওই গাড়ি চালক৷ বাধা পেয়েই ওই গাড়ি চালকের উপরে জোর করতে শুরু করেন ওই যাত্রী৷ চলে আসেন চালকের পাশের আসনে৷
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাধা পেয়েও জোর করে ওই গাড়ি চালকের শরীর স্পর্শ করে যৌন ইঙ্গিত করতে থাকেন ওই গাড়ি চালক৷ এর পরেও ওই গাড়ি চালক বাধা দেওয়ায় হাত দিয়ে তাঁর গলা পেঁচিয়ে ধরে গাড়ি চালক যুবকের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন ওই যাত্রী৷ আতঙ্কিত গাড়ি চালক সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকেন ওই যাত্রী৷ ওই যাত্রীকে বলতে শোনা যায়, তুমি কি প্রাণে মরতে চাও?
আতঙ্কিত ওই গাড়ি চালক এর পর প্রাণে বাঁচতে চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে ঝাঁপ দেন৷ রাস্তার উপরে পড়ে ছিটকে যান তিনি৷ এর পরেই অভিযুক্ত যাত্রী চালকের আসনে বসে গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে চলে যান৷ আহত ওই চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷
এই ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতেও সরব হয়েছেন অনেকেই৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলি যাতে কড়া বিবৃতি দেয়, সেই দাবিও উঠেছে৷
প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও এই ঘটনার পর বিপদে পড়েছেন আক্রান্ত গাড়ি চালক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ কারণ একদিকে কিপলিমোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ, তার উপরে কীভাবে ওই যুবক দুবাইয়ে এই ঘটনার বিচার চেয়ে মামলা লড়বেন, তা নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা৷
এমন কি, যে সংস্থার গাড়ি কিপলিমো চালাচ্ছিলেন, তাঁর পরিবার সেই সংস্থায় অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি৷ বরং তাঁর নিয়োগকারী সংস্থা সমস্ত কাগজপত্র, পাসপোর্ট আটকে রাখায় দুবাই ছেড়ে বেরোতে পারছেন না কিপলিমো৷ দুবাইয়ের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও তাঁদের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেছে কিপলিমোর পরিবার৷
