সোমবার ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে আমেরিকা হামলা না চালালে গাজার এই শান্তি চুক্তি, ইজরায়েলি যুদ্ধ বন্দিদের মুক্তি সম্ভব হত না৷
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতে ইজরায়েলি পার্লামেন্টে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা যদি ইরানে বোমা না ফেলতাম, তাহলে এই চুক্তি আর হত না৷ যতদিন ইরানের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকত, আরব এবং অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো এই শান্তি চুক্তি করতে পারত না ’’
advertisement
চলতি বছরের ২২ জুন আমেরিকার B-2 bombers বিমান বাঙ্কার বাস্টার নামের বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ফরডোতে৷ সোমবার সেই প্রসঙ্গে তুলে মার্কিন সেনার প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ বলেন, ‘‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার, আমাদের কাজের নিরিখে দুর্দান্ত একটা নাম, B-2 স্টেলথ সুন্দর বোমারু বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। তারা সুন্দর বিমান। আমাদের কাছে আরও ২৮টি সামান্য আপডেটেড সংস্করণ রয়েছে। এর সাথে আরও ১০০টি বিমান গিয়েছিল, ৫২টি বড়, সুন্দর, একেবারে নতুন ট্যাঙ্ক সহ। আমাদের কাছে প্রচুর বিমান আছে।’’
এই প্রসঙ্গ তুলে ইরানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের ইঙ্গিতও দেন ট্রাম্প৷ তিনি জানিয়েছেন, তেহরানের সাথে ভবিষ্যতের কূটনীতি সম্পর্কে তিনি আশাবীদ৷ বলেন, “ইরানের সাথে একটি শান্তি চুক্তি করা গেলে তা দুর্দান্ত হবে” এবং আরও বলেন যে “ইরানের জনগণ বেঁচে থাকতে চায়।” ম্প ইরানের সাথে সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের ইঙ্গিত দিয়েছেন, তবে শর্ত দিয়েছেন যে ইরানকে সন্ত্রাসবাদ ত্যাগ করতে হবে এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই কি এতে সম্মত হবেন?
ট্রাম্পের পাশে থাকা ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে “ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু” হিসেবে অভিহিত শান্তি চুক্তিতে তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ফোর্ডোতে হামলার কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, “এর মধ্যে একটি ছিল ফোর্ডোতে বোমা ফেলার সিদ্ধান্ত। এটি কেবল ফোর্ডোতে বোমা ফেলার উদ্দেশ্যে ছিল না, এটি ইতিহাস বদলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল।”