ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, মার্কিন পণ্য রফতানির উপরে মোটা পরিমাণের শুল্ক চাপিয়ে বিশ্বের বহু দেশ আমেরিকাকে লুঠ করছে৷ তারই পাল্টা চিন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপরে পাল্টা শুল্কের বোঝা চাপিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই শুল্কের পরিমাণ ছিল ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত৷ অর্থাৎ, আমেরিকায় এই সমস্ত দেশ থেকে পণ্য রফতানি করা হলেই তার উপরে নির্দিষ্ট হারে শুল্ক চাপবে৷ প্রথম দফায় চিনা পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
advertisement
আমেরিকার এই পদক্ষেপের পাল্টা চিনও মার্কিন পণ্যের উপরে নতুন করে ৩৪ শতাংশ হারে শুল্ক চাপায়৷ সোমবারই ট্রাম্প হুমকি দেন, বেজিং যদি নতুন করে চাপানো শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে চিনা পণ্যের উপরে শুল্কের পরিমাণ একধাক্কায় বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করে দেবেন তিনি৷ হুমকি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প তা করেও দেখালেন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুল্ক হার নিয়ে চিনের সঙ্গে সমস্ত আলোচনাও স্থগিত করে দেবে আমেরিকা৷ তার বদলে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে দর কষাকষিতে মন দেবে আমেরিকা৷
সংবাদসংস্থা এএফপি-কে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার থেকেই চিনা পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসার কথা ছিল৷ সেই শুল্কের পরিমাণই বাড়িয়ে একেবারে ১০৪ শতাংশ করা হচ্ছে৷