লোহিতলাল বস্ত্রে ‘পুজোর বেদীতে আসেন ‘কুমারী দেবী’। পুষ্পাসনে আসীন হয়ে বসেন বিল্বপত্রে। তার কপালে লাল সিঁদুর, হাতে ফুল এবং পায়ে গাঢ় লাল আলতা। পূজারীদের মন্ত্রোচ্চারণে এবং স্তুতিতে দেবীর বন্দনা করা হয়। গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশন মঠে এবার কুমারী পূজা পরিচালনা করেন ভাস্কর মহারাজ, আর তন্ত্র সাধনাকারীর দায়িত্ব পালন করেন কল্যাণ মহারাজ।
advertisement
কুমারী পূজার সূত্রপাত ঘটে সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের হাত ধরে। তিনিই প্রথম নিজ স্ত্রী সারদা দেবীকে মাতৃজ্ঞানে পূজা করা শুরু করেন। আর তার পর থেকেই উপমহাদেশের বিভিন্ন মিশন ও মঠগুলোতে এই কুমারী পূজার চর্চা চালু হয়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই পূজা একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা এবং নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বরের আরাধনাই কুমারী পূজার মূল শিক্ষা।
advertisement
Location :
First Published :
October 18, 2018 2:20 PM IST