স্থানীয় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রের মা। তিনি বলেছিলেন, ক’দিন ধরেই তিনি লক্ষ্য করেন তাঁর সন্তান একেবারে মনমরা হয়ে রয়েছে। তখন জিজ্ঞাসা করতে করতে জানতে পারেন, সে মদ খাচ্ছে, মাদক নিচ্ছে। উদ্বিগ্ন মা তখন পুরোটা জানতে চান। ছেলে তখন বলে শিক্ষিকার সঙ্গে সে নিয়মিত যৌনতায় লিপ্ত। তারপরেই পুলিশে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পুলিশ তদন্তে নেমে পুরো বিষয়টা জানতে পারে।
advertisement
পুলিশ দেখতে পায়, ২০১৮ সালের পর থেকে প্রায় ৫০ বার এরা দু’জন যৌনতায় লিপ্ত হয়েছে। সেই সময়ে তাঁরা স্ন্যাপচ্যাটে নগ্ন ছবি দেওয়া নেওয়াও করত। তারপর মাঝে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফের ২০১৯ সালে এসব আবার শুরু হয়। পুলিশ ওই ছাত্রের ফোন ঘেঁটে দেখেছে, সেখানে অশ্লীল মেসেজ ভর্তি রয়েছে। আর সেই মেসেজের সূত্র ধরেই জানা গিয়েছে, এই যৌনতার খেলা চলত শিক্ষিকার বাড়িতেই। নভেম্বর মাসেই এই কেসের তদন্ত প্রাথমিক ভাবে শুরু করেছিল। পরে ধীরে ধীরে পুরো বিষযটির পর্দা ফাঁস হয়। ওই নাচের স্কুলে ১০ বছর বয়স থেকে যাচ্ছে ওই শিক্ষার্থী। ডেলাওয়্যার কাউন্টি অ্যাটর্নি এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক বলেছেন। বলেছেন, শিক্ষক আর ছাত্রের মধ্যে, এমন ঘটনা হওয়া কাম্য নয়। কারণ, পড়ুয়াটি শিশু, যৌনতায় অংশগ্রহণ করার বা অনুমতি দেওয়ার বয়স তার হয়নি। তাও তাকে এভাবে হেনস্থা করা জঘন্য অপরাধ।
