রবিবার সরকারি ভাবে চিনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ৮৮৩৮। বিশেষজ্ঞদের অবশ্য় অনুমান, আগামী কয়েদিনের মধ্য়েই চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া কয়েক লক্ষ ছুঁতে পারে।
আরও পড়ুন: ভয়ানক কারণ! ইলেকট্রিক গাড়ি নিষিদ্ধ হয়ে গেল সুইজারল্যান্ডে, কেন এই পদক্ষেপ
চিনের অন্য়তম ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান জানিয়েছেন, 'মাত্র কয়েক হাজার আক্রান্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন শহরে অন্তত কয়েক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে। একজন আক্রান্তের থেকে ১৮ জনের মধ্য়ে এই রোগ ছড়াতে পারে।'
advertisement
করোনা নিয়ন্ত্রণে জিরো কোভিড নীতি নিয়েছিল জিনপিং প্রশাসন। বিভিন্ন শহরে কঠোর করোনা বিধি, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম সবই জারি ছিল। কিন্তু এই কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সরব হয় চিনের সাধারণ মানুষ। এমন কি, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্য়াগের দাবি ওঠে। প্রবল গণরোষের এই আঁচ পেয়েই করোনা বিধি শিথিল করে চিন সরকার। আর তার পরেই আক্রান্তের সংখ্য়া দ্রুত বাড়ছে।
আরও পড়ুন: কোট গায়ে চাপালেই ম্যাজিক, রাতারাতি না কি অদৃশ্য হওয়া যাবে! বানিয়ে তাক লাগাল চিনা ছাত্ররা
পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই আগেভাগে তৈরি হচ্ছে চিনের প্রশাসন। হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখার পাশাপাশি ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স, এমন বাসিন্দাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার জন্য় সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিনের রাজধানী বেজিংয়েও পরিস্থিতির অবনতির দিকে যাচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দাদের দিনে একাধিকবার বাধ্য়তামূলক করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। কিন্তু ব্য়বসায়িক প্রতিষ্ঠান বা অফিস এবং স্কুলের মতো যেখানে বেশি মানুষের জমায়েত হয়, সেখানেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এমন কি, কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেজিংয়ের বেশ কিছু রেস্তোরাঁ এবং ব্য়বসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধও রাখতে হয়েছে।
