জানা যায় ওই অভিযুক্ত যুগল এয়ারব্লু সংস্থার করাচি-ইসলামাবাদ উড়ানে চতুর্থ সারির আসনে বসে চুমু খেতেই ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ২০ মে, করাচি-ইসলামাবাদের ফ্লাইট PA-200-এ। অন্য দিকে ঘটনাটি দেখে অন্যান্য যাত্রীরা আপত্তি জানান। তখন এক বিমানসেবিকা ওই যুগলকে বলেন, অন্যরা আপত্তি জানাচ্ছেন। যদিও তাঁর কথায় কান দেননি ওই যুগল। এর পর তাঁদের দিকে কম্বল এগিয়ে দেন ওই বিমানসেবিকা । তিনি বলেন, কম্বলের আড়ালে ওই যুগল যা ইচ্ছে করতে পারেন। তাতে অন্যদের আপত্তির কিছু থাকবে না। কিন্তু তাতেও রাজি হন না ওই যুগল। এমনকি তাঁরা বলেন, আমাদের যা খুশি করব। আপনি বলার কে? আর এর পরেই ওই উড়ানে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। ঘটনাটিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে ৷ ভরে গিয়েছে মজার মিম-জোকসে ৷
advertisement
বিমানে থাকা যাত্রীরা সংবাদমাধ্যমে জানান যে, ওই দু'জন প্রথমে একে অপরকে চুমু খেতে শুরু করেন। এর পর এক যাত্রী তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিমানসেবিকা যুগলকে থামার জন্য অনুরোধ করলেও তাতে তাঁরা কর্ণপাত করেননি। এদিকে, ওই উড়ানে থাকা আইনজীবী বিলাল ফারুক আলভি (Bilal Farooq Alvi) অবশেষে ওই যুগলের বিরুদ্ধে এবং এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি ওই যুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমেও ওই যুগলের ব্যবহারের নিন্দা করেছেন । ভিডিওতে তিনি ঘটনাটি বিশদে অর্থাৎ ফ্লাইটে কী ঘটেছিল এবং কী ভাবে বিমান সংস্থা তাঁদের থামায়নি এবং পরিবর্তে তাঁদেরকে প্রকাশ্যে কম্বলের ভিতরে চুম্বন করার অনুরোধ করেছিল, এই সমস্ত কিছুই তিনি একটি ভিডিওতে বলেছেন। এরপরেই পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ জানায় যে,পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত যুগল ও উড়ানে থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর অভিযোগের খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেতেই নেটিজেনরা এই ঘটনা নিয়ে মজাদার প্রতিক্রিয়া ও মিম পোস্ট করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অভিযোগকারীর দিকেও আঙুল তোলেন ৷