চলতি বছরের শুরু থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। সম্প্রতি কয়েকদিন যাবত ওমিক্রনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা শতাংশের হার বেশ কিছুটা নিম্নমুখী। এই অবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা বিধি-নিষেধ বেশ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও অনেক বেশি সংক্রামক ওমিক্রনের নতুন রূপ, সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা! জানুন
advertisement
আর তাতেই ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ বিধিনিষেধ তড়িঘড়ি শিথিল করা ও ঢিলেঢালা মনোভাবই ফের বিপদের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ইতিমধ্যেই WHO-এর তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
WHO-এর প্রতিনিধি মারিয়া ওয়েন বলেছেন, "আমরা সব সময়ই কোভিড ১৯ বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করার জন্য সব দেশের কাছে আবেদন করেছি। কারণ এই ভাইরাস খুব শক্তিশালী।" পাশাপাশি WHO-এর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন তাঁরা সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে নন। পুরোপুরি লকডাউন না করে করোনা বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করার পক্ষেই মত দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। WHO-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এখনও পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের ঢেউ আছড়ে পড়েনি। এমনকী পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলিতে করোনা টিকাদানের হার বেশ কম বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। পৃথিবীর অপেক্ষাকৃত গরিব দেশে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রায় দেওয়ায় হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই অবস্থায় করোনার বিধিনিষেধ তড়িঘড়ি শিথিল করলে ফের বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন WHO-এর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাড়তেই বাড়ল করোনা আক্রান্ত ও সংক্রমণের হার, রাজ্যে একদিনে মৃত ৩৫!
এ প্রসঙ্গে WHO-এর মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক ওমিক্রনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার গ্রাফ বেশ কিছুটা নিম্নগামী। কিন্তু এতে আশ্বস্ত হওয়ার কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, সেখানে মানুষ মনে করছে ভ্যাকসিনের কারণেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে গিয়েছে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ওমিক্রনকে গুরুত্বহীন মনে করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের এই ধারণা যে একেবারেই ভুল সে কথাও জানিয়েছেন WHO-এর মহাসচিব। ঢিলেঢালা মনোভাব ও বিধিনিষেধ তড়িঘড়ি শিথিল হলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক আবহে গোটা বিষয়ের ওপর করা নজর রেখে মহামারী রুখে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে প্রত্যেকটি দেশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে।