মারা যাওয়া ওই কর্মকর্তার বয়স ছিল ষাটের কোটায়। তিনি কিম জং ইল যুগ থেকে একজন বিশ্বস্ত আমলা ছিলেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পিয়ংইয়ং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগে তাঁকে কোকারবক্সিলেসের একটি ডোজ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল, যা সাধারণত রোগীদের ক্লান্তি থেকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
advertisement
তবে উত্তর কোরিয়ায়, এই ওষুধটি ফুসফুসের অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং এমনকি সংক্রামক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে ওষুধের সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। আমদানির পরিবর্তে এবার দেশেই ওষুধ তৈরির কথা ভাবছে দেশটি। জানা গেছে, কিম এমন একজন প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে হারানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি চিনের করোনা ভ্যাকসিনের নমুনা নিয়ে বিশ্লেষণ ও গবেষণা বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন। তবে তদন্তের সময় কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে, পিয়ংইয়ং-এর প্রধান হাসপাতালগুলো বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করছে না। কিন্তু কিম জানিয়েছেন এমনিতে ড্রাগনের সঙ্গে তাঁদের যত ভালই সম্পর্ক হোক, ওই কর্মকর্তার মৃত্যুর কারণ যদি চিনা ইঞ্জেকশন হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু তিনি উত্তর কোরিয়া থেকে চিনা ব্যবসার দফারফা করে দেবেন।