মার্কিন ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে মে মাসের ৮ তারিখ নাগাদ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুরোপুরি ঢুকে যাবে এই রকেট৷ আর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ধাক্কা খেয়ে ভস্মীভূত হয়ে যাবে আর তখনই সমস্ত ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে একেবারে ক্ষয়ক্ষতি করবে বিশাল৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ড (US Space Command) পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছে৷
নিজেদের সরকারি বিবৃতিত পেন্টাগনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস কমান্ড (US Space Command) জানিয়েছেন, ‘‘ইউ এস স্পেস কমান্ড বিষয়টি সম্পর্কে জানে তারা চাইনিজ লঙ্গ মার্চ ৫ বি মহাকাশে ঠিক কোথায় রয়েছে৷ তবে কোথা দিয়ে পৃথিবীতে এটা ঢুকবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না যতক্ষণ না এটা ঢুকে ়াচ্ছে, তবে এটা ৮ মে -র আশেপাশে এটা ঢুকবে৷
advertisement
সেখানে আরও বলা হয়েছে. ‘‘সেই অবধি দ্য ১৮ স্পেস কন্ট্রোল স্কোয়াড্রন এই নিয়ে রোজই আপডেট দেখবে৷ মে মাসের ৪ তারিখ থেকে স্পেস ট্র্যাক .ওআরজি (Space-track.org) এর লাইভ লোকেশন ট্র্যাক করছে৷ USSPACECOM তে এর সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে৷
ন্যাশানাল ইন্টিলিজেন্স অন গ্লোবাল থ্রেট -র মার্কিন অফিস জানিয়েছে তাদের ইন্টিলেজেন্স রিপোর্ট অনুযায়ি চিন নিজেদের মহাকাশের কাজ জারি রাখবেই৷ তার মধ্যে রয়েছে satellite reconnaissance, পজিশানিং, নেভিগেশন, ও টাইমিং৷ তারা স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনকে নিজেদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে৷
গত বছরেও লঙ্গ মার্চ ৫ বি রকেট ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করেছিল৷ সেবার আটলান্টিক মহাসাগরে এই ক্র্যাশ ল্যান্ডিং হয়েছিল৷ যা ধ্বংসাবশেষ ছিল তা৩০.৪৮ মিটার ও ১৮,০০০ কেজি৷ ১৯৯১ -র পর এটা সবচেয়ে বেশি রকেটের ধ্বংসাবশেষ যা পৃথিবীর কোনও মহাসাগরে পড়েছিল৷